মুসলমানদের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মীয় উৎসব ঈদ। এই ঈদে নতুন পোশাকের পাশাপাশি সবাই সাধ্যমতো নিজেদের বাড়িতে ভালো খাবারের আয়োজন করে থাকে। এলাকা ভেদে আয়োজন করা হয় নানান ধরণের খাবার। বগুড়া বা আশেপাশের এলাকায় রকমারী খাবারের মধ্যে সেরা খাবার হলো লাচ্ছা সেমাই। তাইতো সময় ঘনিয়ে আসতেই শেরপুরে শুরু হয়েছে লাচ্ছা সেমাই তৈরির ধুম। এ বছর শেরপুর শহর ও শহরের বাইরে প্রায় ১০/১২ টি কারখানায় প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মন মজাদার লাচ্ছা সেমাই তৈরি হচ্ছে। এসব লাচ্ছা কারখানার মধ্যে ফুড ভিলেজ, প্যান্টাগন হোটেল, হোটেল সুপার সাউদিয়া, বৈকালী ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরী, নাহিদ এন্ড নাঈম ফুড প্রডাক্টস উলে¬খযোগ্য। এসব কারখানাগুলোতে তেলে ভাজা লাচ্ছা সেমাই ছাড়াও তৈরি হচ্ছে ডালডা ও ঘিয়ে ভাজা লাচ্ছা সেমাই, যা এলাকার চাহিদা মিটিয়ে পাবনা, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ, নাটোর সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি জেলাতে সরবরাহ করা হচ্ছে। এসব লাচ্ছা সেমাইয়ের প্রতি কেজির দাম, তেলে ভাজাÑ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, ডালডা ভাজাÑ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, ঘিয়ে ভাজাÑ ৩৬০ থেকে ৪০০ টাকা।
তবে ফুড ভিলেজ এর ঘিয়ে ভাজা প্রিমিয়াম লাচ্ছা সেমাই এবছর শেরপুরের বাজারের সেরা লাচ্ছা সেমাই বলে দোকানী ও ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। এর প্রতি কেজি লাচ্ছার দাম ৫০০ টাকা। শেরপুরের বিভিন্ন কারখানা ঘুরে দেখা গেছে সব কারখানা মিলে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ শ্রমিক লাচ্ছা সেমাই তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। তবে, উলে¬খিত কারখানার বাইরে আরও কিছু বেনামী কারখানা রয়েছে যেখানে এসব খাদ্য সামগ্রী তৈরির পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা। যেখানে কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া অত্যন্ত জরুরী। ফুড ভিলেজ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. আশরাফুল ইসলাম সেলিম, প্যান্টাগন হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার মো. হারুনার রশীদ ও হোটেল সুপার সাউদিয়ার জেনারেল ম্যানেজার মো. আব্দুল খালেক এর সাথে কথা বলে জানা যায়, শেরপুরের লাচ্ছা সেমাই গুণগত মানে ভালো হওয়ার কারণে এলাকার বাইরেও এই লাচ্ছা সেমাই এর সুনাম রয়েছে। এছাড়া শেরপুরের লাচ্ছা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে অন্যান্য লাচ্ছা সেমাইয়ের চাইতে শেরপুরের লাচ্ছা সেমাই বিক্রি অনেক বেশি।