সাত মাস আগে গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরবে গিয়ে নির্যাতনের ক্ষত নিয়ে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশি এক নারী।
মঙ্গলবার রিয়াদ বিমানবন্দরে উড়োজাহাজে বসে এক আরবকে ওই নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। তার বক্তব্য ভিডিও করেছেন ওই আরব।
ভিডিওতে ওই নারীর এক হাতে ক্ষতচিহ্ন, আরেক হাতে গোটা গোটা ফোস্কা দেখা যায়।
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সৌদি আরবে কাজে আসার পর প্রতিদিন তাকে ছয় থেকে সাতবার গরম কিছু দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়া হত। ওই ছ্যাঁকাতেই এই ফোস্কা হয়েছে।
কেন নির্যাতন করা হত জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কারও সাথে, বিশেষ করে স্বামীর সাথে কথা বলতে চাইলে মালিক দিত না। দেশে ফিরতে চাইলে নির্যাতন করা হত।
এভাবে নির্যাতনের পর সৌদি মালিক তাকে বিমানবন্দরে রেখে চলে যান।
ওই নারী বলেন, এই কয় মাসে তাকে কোনো বেতন দেওয়া হয়নি। কিন্তু বিমানবন্দরে রেখে যাওয়ার সময় বেতন নিয়েছেন মর্মে স্বাক্ষর নিয়ে গেছেন মালিক।
ভিসা ও পাসপোর্টের তথ্য অনুযায়ী নির্যাতিত ওই বাংলাদেশি নারীর বাড়ি চুয়াডাঙ্গায়। তিনি গত ২২ জানুয়ারি সৌদি আরব আসেন।
সৌদিতে তার নিয়োগকর্তা আজিজা নাশহাত মোহাম্মদ আলী কাকা, তার লাইসেন্স নম্বর- ১১৩৪৩১৫৮৮৪।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর সরওয়ার আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘটনাটি কেবলই জানতে পারলাম। সরাসরি বিমানে উঠিয়ে দেওয়ায় ওই নারীর কোনও অভিযোগ আমরা পাইনি। এখনি আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের ব্যবস্থা করছি।”