Logo




শাজাহানপুর থানা পুলিশের অভিযানে অপহরণ চক্রের ৫সদস্য গ্রেফতার

প্রতিবেদকের নাম :
আপডেট করা হয়েছে : রবিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৭

মাসুম হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ রোববার বগুড়া শাজাহানপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ অপহরণ চক্রের সদস্যকে গ্রেফতার করে ২ জন অপহৃতকে উদ্ধার করেছে। শনিবার রাত ১১ থেকে অভিযান চালিয়ে পুলিশ রবিবার ভোরে ৫ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে। এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানায় অপহৃতদের ভাগনে শাহ আলম আকন্দ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছিল।

গ্রেফতারকৃত অপহরণ চক্রের সদস্যরা হলেন , নন্দীগ্রাম উপজেলার বীরপল্লি গ্রামের মৃত-অছিমুদ্দীনের পুত্র মুকুল শেখ(৩২), একই গ্রামের আব্দুর কাদেরের মেয়ে জয়া(৩০), নন্দীগ্রাম হাসপাতাল পাড়ার মৃত-ঈমান শেখের মেয়ে রিনা খাতুন(২২), নন্দীগ্রাম ঢাকরাইল গ্রামের মৃত- আবুল সরকারের কন্যা রুখসানা (৩৫), গোবিন্দগন্জ প্রর্ধান পাড়ার মৃত-আব্দুস সালামের মেয়ে রানী(৩৮)। উদ্ধারকৃতরা হলেন, ধান চাল ব্যবসায়ী গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার শিমুলতলা গ্রামের মৃত-খতিবুল্লাহ বেপারির পুত্র আব্দুল হালিম(৫২) ও তার চাচাতো ভাই একই গ্রামের মৃত-নুরুল হোসেনের পুত্র আমজাদ হোসেন(৫২)।
এজাহার ও থানা পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গত শনিবার সকালে অপহরণ চক্রের সদস্য মুকুল শেখ মোবাইল ফোনে বড় চাল ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে গাইবান্ধা জেলার ধান চাল ব্যবসায়ী আব্দুল হালিমকে চাল বিক্রয় হবে বলে জানিয়ে তার গোডাউনে আসতে বলে। আব্দুল হালিম তার কথা বিশ্বাস করে দুপুরে চাল ক্রয়ের উদ্দেশ্যে আরেক ধান চাল ব্যবসায়ী তার চাচাতো ভাই আমজাদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে শাজাহানপুর শাকপালা মোড়ে আসে। শাকপালা মোড় থেকে চাল ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে ৪/৫ জন এসে তাদেরকে নন্দীগ্রাম নিয়ে যায়। নন্দীগ্রাম টিএমএসএস অফিসের ২য় তলায় তাদেরকে আটক করে আব্দুল হালিমের ভাগনে শাহ আলম আকন্দকে ফোন করে ৬,০০০০০(ছয় লক্ষ)টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। তারা আরও জানায় টাকা না দিলে আব্দুল হালিম ও আমজাদ হোসেন কে হত্যা করে লাশ গুম করা হবে। পরবর্তিতে শাজাহানপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করা হলে পুলিশ শনিবার রাত ১১টা থেকে পরদিন ভোর ৪টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে অপহৃত ২জনকে উদ্ধার করে অপহরণ চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে।

শাজাহানপুর থানার এসআই জাহাঙ্গীর কবীর জানান, অপহরণকারীদের টাকা দেওয়া হবে জানালে তারা নন্দীগ্রাম পেট্রোল পাম্পের সামনে টাকা নিয়ে আসতে বলে। গভীর রাতে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে পাম্পের সামনে গেলে সেখানে মুকুল টাকা নিতে আসলে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং অপহৃতদের সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয়। মুকুলের স্বীকারক্তী অনুযায়ী জয়ার বাড়ি বীরপল্লিতে গিয়ে জয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তিতে জয়ার স্বীরারক্তি অনুযায়ীরানী, রিনা খাতুন ও রুকসানাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মন্তব্য

মন্তব্য





এই ধরনের আরও খবর

ফেসবুকে আমরা




Theme Created By ThemesDealer.Com