Logo




শীতে হাত ও পায়ের যত্ন

প্রতিবেদকের নাম :
আপডেট করা হয়েছে : সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৭

শীতে হাত ও পায়ের যত্ন

শীত এলেই প্রকৃতি বদলে যায়। প্রকৃতির সেই প্রভাব পড়ে মানুষের ওপরেও। ত্বক হয়ে ওঠে রুক্ষ ও খসখসে। ঠোঁট ফেটে যায়। পায়ের গোড়ালি থেকে চামড়া উঠতে থাকে। চুল ভরে ওঠে খুশকিতে। এ রকম আরো নানা সমস্যা দেখা দেয় শীতে।

যদি ঠিকঠাক মতো নিয়ম মেনে চলা যায় তাহলে শীতে আর সৌন্দর্য হানি হয় না, ত্বকও থাকে মসৃণ ও সুন্দর। শীতে কীভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন? কীভাবে বজায় রাখবেন হাত ও পায়ের স্বাভাবিক সৌন্দর্য? কীভাবে কাটিয়ে উঠবেন এ জাতীয় সমস্যা? এসবের উত্তর দেওয়া হলো। আশা করি শীতের এই বিরূপ আবহাওয়া আপনার হাত ও পায়ের সৌন্দর্যে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারবে না।

খসখসে হাতের যত্নে

শীত এলে অনেকের হাতের ত্বক খুব অমৃসণ ও খসখসে হয়ে যায়। এ সময় ত্বক সুন্দর রাখার উপায় কী? চমৎকার ফল লাভের জন্য এখানে অল্প কিছু সহজ ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবস্থার উল্লেখ করা হলো :

১. এক টেবিল চামচ দুধের সর বা মাখনে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও গ্লিসারিন মিশিয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুই হাতে সেটা ঘষে লাগিয়ে নিন।

২. ঘুমাতে যাওয়ার আগে হাত ও আঙুলগুলো বাদাম তেল দিয়ে মালিশ করে নিন।

৩. হাতের ত্বক খসখসে হয়ে থাকলে এক চা চামচ চিনি ও লেবুর রস নিন। তারপর দুই হাতের তালুতে নিয়ে ঘষতে থাকুন, যতক্ষণ না চিনি গলে যায়। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। চিনির পরিবর্তে মধুও ব্যবহার করতে পারেন।

৪. গ্লিসারিনের সাথে গোলাপ পানি মিশিয়ে কটন উল সোয়াব দিয়ে তা দুই হাতে ঘষুন। দেখবেন ত্বক কেমন চমৎকারভাবে পরিষ্কার হয়।

৫. যদি আপনার ত্বক গরম পানি, সোডা, কাপড় কাচার সাবান বা ডিটারজেন্টের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে ভিনেগারের সাথে পানি মিশিয়ে হাত ধোবেন, এতে ভালো ফল পাবেন।

৬. যদি আপনার ত্বক খুব শুষ্ক হয় তাহলে ভ্যাসলিনের সাথে কার্বোলিক অ্যাসিড মিশিয়ে দুই হাতে ঘষে নিন।

খসখসে পায়ের যত্নে

কারো কারো মুখমণ্ডলের ত্বক কোমল থাকে কিন্তু পায়ের তলা থাকে খসখসে। মাঝে মাঝে পায়ের তলা দুটো ফুলে যায় এবং চুলকায়। কীভাবে এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব?

১. গরম পানির মধ্যে সামান্য সোডা বাই কার্বোনেট মিশিয়ে পায়ের তলা তার মধ্যে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। খসখসে অংশগুলো ও গোড়ালি ঝামাপাথর দিয়ে জোরে জোরে ঘষে পরিষ্কার করবেন। নাজুক অংশ যেমন আঙুলগুলো পরিষ্কার করবেন একটা নাইলন ব্রাশ দিয়ে। তারপর একটা পরিষ্কার শুকনো তোয়ালে দিয়ে পায়ের পাতা দুটো ভালো করে মুছবেন। এরপর পায়ের তলায় একটা ভালো ট্যালকম পাউডার ছিটিয়ে দেবেন। অনেক সময় জুতা-মোজা পড়লে পায়ের তলা প্রচুর ঘামায়। ওগুলো পায়ের ত্বকের সাথে লেগে থাকে এবং ঘাম ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে। শুষ্ক ত্বকে সর্বদা কোল্ড ক্রিম মাখতে হবে। আপনার আঙুলের ফাঁকগুলোতে ডিওডোরেন্ট ছড়িয়ে দিন। মোজাগুলোকে পরিষ্কার রাখবেন এবং ওগুলো প্রতিবার পরার পরে ধুয়ে দেবেন।

২. পা ফোলার জন্য কার্যকর চিকিৎসা হলো,পা দুটো লেবুর রস অথবা কর্পূর মিশ্রিত স্পিরিট দিয়ে মালিশ করা। যদি চুলকানি থাকে, তাহলে ঘন ঘন পা পরিষ্কার করবেন। ভালো করে পা শুকাবেন এবং পাউডার ছিটিয়ে দেবেন। যদি সমস্যা থেকে যায় তাহলে গোড়ালি ও আঙুলগুলোতে গ্লিসারিন মাখবেন এবং আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলবেন। গোসলের আগে গোড়ালিতে মধু ঘষবেন।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, অর্থোপেডিকস ও ট্রমাটোলজি বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।

মন্তব্য

মন্তব্য





এই ধরনের আরও খবর

ফেসবুকে আমরা




Theme Created By ThemesDealer.Com