Logo




বগুড়া শাজাহানপুরে মসজিদের কতৃত্ব নিয়ে উত্তেজনাঃ সংঘর্ষের আশংকা

প্রতিবেদকের নাম :
আপডেট করা হয়েছে : মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

বগুড়া শাজাহানপুরে মসজিদের কতৃত্ব নিয়ে উত্তেজনাঃ সংঘর্ষের আশংকা

মাসুম হোসনে, স্টাফ রিপোর্টারঃ  বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলায় মসজিদ পরিচালনা করাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে। উপজেলার বনানী এলাকার এজাজ হাউজিং জামে মসজিদের কতৃত্ব নিয়ে এলাকাবাসী ও দারুস সালাম ক্বেরাত সেন্টার হাফেজিয়া মাদরাসা কতৃপক্ষের মধ্যে দ্বন্দের সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে দাতার পরিবার বলছে মসজিদের জন্য জমি দান করা হয়েছে কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে দান করা হয়নি। বর্তমানে মসজিদটি এলাকাবাসী পরিচালনা করছে।
জানাগেছে, উপজেলার বনানী এলাকার এজাজ হাউজিং এলাকায় মসজিদের জন্য জমি দান করেছেন এজাজ রসুল। তিনি মৃত্যুবরণ করার পর ২০১০সাল থেকে ওই মসজিদের দখল নিয়ে মাদরাসা কতৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর মধ্যে দ্বন্দ চলে আসছে। বর্তমানে তাদের দ্বন্দ চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। যেকোন মূহুত্বে সংঘর্ষ হতে পারে ওই এলাকায়।
মাদরাসার পরিচালক ও মুহতামিম ক্বারী মাওলানা ইয়াহিয়া জানান, মসজিদ সবার জন্য উন্মুক্ত। এলাকার লোকজন যখন-তখন মসজিদে এসে নামায আদায় করতে পারবেন। মাদরাসার তত্ত্বাবধায়নে থাকলে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের সুবিধার্থে মসজিদ ব্যবহার করতে পারবে। এলাকাবাসী অযথায় মসজিদ নিয়ে ঝামেলা করছে। মসজিদটির ভিতরে মাদরাসার কিছু জায়গা রয়েছে বলে তিনি দাবী করছেন।
এজাজ হাউজিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন জাহিদ জানান, মাদরাসা কতৃপক্ষ মসজিদটি তাদের তত্ত্বাবধায়নে নিতে পায়তারা করছে। মাদরাসা কতৃপক্ষের কতৃত্ব থাকলে জনসাধারণ সবসময় মসজিদে যাতায়াত করতে পারবেনা। মাদরাসার কিছু জায়গা যদি মসজিদে থেকে থাকে তাহলে আলোচনার মাধ্যমে তার সুরাহা করা হবে।
হাউজিং কমটির সদস্য মোজাম্মেল হক জানান, ১৯৯৭ সাল থেকে ওই মসজিদে তারা ওয়াক্ত নামায আদায় করতেন। পরবর্তিতে ২০০৫ সালে মসজিদটি পূর্ণাঙ্গ ভাবে তৈরী করে জামে মসজিদে রুপান্তর করা হয়। তারা জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করার পর ২বার সরকারী অনুদান পেয়েছেন। পরবর্তিতে মসজিদের পাশে মাদরাসা তৈরী হয় এবং এজাজ রসুল মারা যাওয়ার পর থেকে মাদরাসা কতৃপক্ষ মসজিদটি দখলের চেষ্টা করে আসছে।
ওই মসজিদের ঈমাম ও খতিব সারোয়ার হোসেন জানান, মসজিদের গেটের চাবি নেওয়ার জন্য মাদরাসা কতৃপক্ষ বারবার তাঁকে ফোন দিচ্ছে এবং বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। তাঁকে নিয়োগ দিয়েছেন এলাকাবাসী তাদরে নির্দেশ পেলে তিনি মসজিদের চাবি দিবেন।
দাতা এজাজ রসুলের স্ত্রী,র সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি তবে এজাজ রসুলের ভাই ছোটন জানান, তারা জায়গা দান করেছেন মসজিদের জন্য সেখানে সবাই নামায আদায় করবেন। জায়গাটি কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে দান করা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক এলাকাবাসী জানিয়েছেন, মসজিদ দখল নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মূহুত্বে এলাকায় বড় ধরণের সংঘর্ষ হতে পারে।
ওই ওয়ার্ডের কমিশনার খোরশেদ আলম জানান, একটি চক্র মসজিদের কতৃত্ব নিতে পায়তারা করছে। মসজিদটি এলাকাবাসীর তত্ত্বাবধায়নে থাকলে জনসাধারণের জন্য সুবিধা হবে।

মন্তব্য

মন্তব্য





এই ধরনের আরও খবর

ফেসবুকে আমরা




Theme Created By ThemesDealer.Com