মাসুম হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ কামরুজ্জামান অফিস কক্ষের দরজায় কর্মচারি দিয়ে বসিয়েছেন চেক পোস্ট এবং মোতায়েন করেছেন গ্রাম পুলিশ। এতে বিব্রত বোধ করছেন সাক্ষাত প্রার্থী সাধারণ মানুষ। এমন পরিবেশে সমস্যা কবলিত কোন সাধারণ মানুষের পক্ষে ইউএনও’র সাথে সাক্ষাত করা অত্যন্ত দূরূহ। এমনকি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের অনেকেই তার প্রশাসনিক পরামর্শ থেকে বঞ্চিত। বর্তমানে শাজাহানপুরে জনবান্ধব প্রশাসনের বিষয়টি পুরোপুরি অনুপস্থিত।
জানাগেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলা, নেতিবাচক সিদ্ধান্ত ও কর্মকান্ডের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে জনপ্রশাসনের ভাবমুর্তি। ক্ষুন্ন হয়েছে ইউএনও’র মর্যাদা। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সমালোচিত ঘটনার মধ্যে রয়েছে ডোমনপুকুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা নূরুন্নবীর কফিনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা না দেয়া। খাদাস হিন্দুপাড়া গ্রামে সেচ স্কীমের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বৈদ্যুতিক মোটর ভাঙচুর করা। পরে জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির মাধ্যমে ওই সেচ স্কীমে তাৎক্ষণিক ভাবে পুনঃবিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া। সরেজমিন না গিয়েই জমি-জমা সংক্রান্ত একটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করায় মামলার বিবাদী পক্ষ কর্তৃক ইউএনও’র বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়া। অধীনস্থ কর্মচারিদের সাথে দুর্ব্যবহার করা। রাজপথে বিক্ষোভ মিছিলের পর গ্রাম পুলিশদের বেতন ভাতা প্রদান। ব্যাপক হারে বাল্য বিয়ে হলেও তা প্রতিরোধে গুরুত্ব না দেয়া। সব শেষে উপজেলার হাট-বাজারের টেন্ডার কার্যক্রমে অনিয়ম হয়েছে মর্মে জেলা প্রশাসকের নিকট আল আমিন নামের এক দরপত্র দাতার অভিযোগ দায়ের হওয়া। ইউএনও’র এসকল কর্মকান্ডে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ জনপ্রশাসনের উপর থেকে আস্থা হারিয়েছেন।
হাট-বাজার ইজারায় অনিয়ম প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব বিষয় বলতে হবে এমন কোন আইন নেই আর আপনারা কেও দরপত্র জমা দেননাই।
এসব বিষয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক নূরে আলম সিদ্দিকী’র সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জানান, বিষয় গুলো তদন্ত করে দেখা হবে।