Logo




বগুড়া শাজাহানপুরে এ কেমন ইউএনও!

প্রতিবেদকের নাম :
আপডেট করা হয়েছে : মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ, ২০১৮

মাসুম হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)মোঃ কামরজ্জামানের অনিয়মের তদন্ত করছে দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) ও জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসককে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার। অপরদিকে তদন্তে আস্থা রাখতে বলেছে দুদক।
জানাগেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামানের দাঁয়িত্ব অবহেলা, নেতিবাচক সিন্ধান্ত ও কর্মকান্ডের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে জনপ্রশাসনের ভাবমূর্তি। তাঁর দায়িত্ব অবহেলায় উপজেলার ডোপনপুকুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরন্নবীর কফিনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয়নি। গোহাইল ইউনিয়নের খাদাস হিন্দুপাড়া গ্রামে সেচ স্কীমের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মোটর ভাংচুর করেছিলেন তিনি। পরে জেলা প্রশাসক কতৃক গঠিত তদন্ত কমিটির মাধ্যমে ওই সেচ স্কীমে তাৎক্ষণিকভাবে পুনঃবিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। সরেজমিনে না গিয়েই তিনি জমি-জমা সংক্রান্ত একটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করেছিলেন। পরবর্তিতে ওই মামলার বিবাদী পক্ষ কতৃক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিক হয়েছে। ৪মাস বেতন-ভাতা না পেয়ে রাজপথে আন্দোলনের করেছে গ্রাম-পুলিশ। পরবর্তিতে তাদের বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়েছে। উপজেলায় ব্যপক হারে বাল্য বিয়ে হলেও তা প্রতিরোধে গুরুত্ব দেন না তিনি। সর্বশেষ গত২৭শে ফেব্রুয়ারী ২২টি হাট-বাজারের ইজারায় অনিয়মে ব্যপক সমালোচিত হয়েছেন তিনি। টেন্ডার বাক্সে ফালানো সবোর্চ্চ দরপত্র গুলো ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এবিষয়ে আলামিন নামে এক দরপত্রদাতা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিলেও পরবর্তিতে তা তুলে নেয়। ইউএনও’র অনিয়মে জনপ্রশাসনের উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে উপজেলাবাসী। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উঠে আসা নানা অনিয়মের তদন্ত করছে দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) ও জেলা প্রশাসন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক উপজেলাবাসী জানিয়েছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দাঁয়িত্ব অবহেলা, নেতিবাচক সিন্ধান্ত ও কর্মকান্ডে জনপ্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কর্মকান্ডের তাদের মনে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে এ কেমন ইউএনও!
ইউএনও কামরুজ্জামান দায়িত্বে বহাল থাকায় তদন্তে কোন প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে, দূর্নীতি দমন কমিশন বগুড়া উপপরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, তদন্ত চলাকালীন সময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দাঁয়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়া যেতে পারতো। তবে দাঁয়িত্বে থাকলেও তদন্তে প্রভাব পড়বেনা এবিষয়ে আস্থা রাখতে বলেছেন তিনি। তিনি আরও জানেিয়ছেন, সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে, বিচার করবে কোর্ট।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মোঃ নুর উর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, বগুড়া জেলা প্রশাসককে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য

মন্তব্য





এই ধরনের আরও খবর

ফেসবুকে আমরা




Theme Created By ThemesDealer.Com