Logo




শাজাহানপুরে কৃষক হত্যার নেপথ্যে নারী

প্রতিবেদকের নাম :
আপডেট করা হয়েছে : শুক্রবার, ৩০ মার্চ, ২০১৮

মাসুম হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার বীরগ্রাম দক্ষিণপাড়ার কৃষক ফরহাদ হোসেন হত্যার নেপথ্যে রয়েছে পরকীয়া। বীরগ্রাম স্ট্যান্ডের নির্মাণধীন কনফিডেন্স বৈদ্যুতিক পাওয়ার প্লান্টের পশ্চিম পাশের দেয়ালের কাছ থেকে গত ১৮মার্চ রোববার সকালে ওই কৃষকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। কৃষক ফরহাদ হোসেন ওই এলাকার মৃত আবুল হোসেনের পুত্র। হত্যাকান্ডের ২সপ্তাহ পার না হতেই বেরিয়ে এলো হত্যার রহস্য। গত বুধবার দিবাগত রাতে মামলার আসামী আজম(২২) , রবিউল ইসলাম খোকন (২০) ও প্রবাসী ওয়ারেছুল মোস্তফার স্ত্রী জাকিয়া আক্তারকে (২২) গ্রেফতার করে শাজাহানপুর থানা পুলিশ। তাদেরকে বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু রায়হানের আদালতে হাজির করা হলে তারা ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়। পরে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাজাহানপুর থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিহত কৃষক ফরহাদ হোসেনসহ আসামী সকলেই বীরগ্রাম দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা। ওই এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ওয়ারেছুল মোস্তফার স্ত্রী জাকিয়া আক্তারের সঙ্গে আজমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। জাকিয়া আক্তারের মামাতো ভাই খোকন বিষয়টি জানতো। আজমের বন্ধু কৃষক ফরহাদ হোসেন ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়তে চেষ্টা করে। বিষয়টি জাকিয়া আক্তার আজমকে জানায়। আজম অনেকবার ফরহাদকে এবিষযে নিষেধ করলেও সে শোনেনি। পরবর্তিতে খোকনের সঙ্গে পরিকল্পনা করে আজম ১৭মার্চ শনিবার রাতে ফরহাদকে ডেকে একসঙ্গে গাঁজা সেবন করে তারা ৩জন। গাঁজা সেবন শেষে যাওয়ার পথে বীরগ্রাম নির্মাণধীন বৈদ্যুতিক কনফিডেন্স পাওয়ার প্লান্টের পশ্চিম পাশে ফরহাদকে খোকন জাপটে ধরে এবং আজম ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে জবাই করে হত্যা করে। এবিষয়ে আসামীরা গত বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু রায়হানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

মন্তব্য

মন্তব্য





এই ধরনের আরও খবর

ফেসবুকে আমরা




Theme Created By ThemesDealer.Com