মাসুম হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়া শাজাহানপুরে রহস্যজনক ভাবে সাত মাস বয়সের শিশু সামিল সাদমান নিহানের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার উপজেলার জালসুকা এলাকায় এঘটনা ঘটেছে। তবে শিশুর বাবা সৌরব হোসেন জোহা দাবি করছেন পরকীয়ার জেরে তার সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে।
জানাগেছে, প্রায় ৩বছর পূর্বে উপজেলার জালসুকা এলাকার আব্দুল খালেক মাষ্টারের কন্যা নিগার সুলতানার সঙ্গে বেজোরা চকপাড়া এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে সৌরব হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই পরিবারে অশান্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে নিগার সুলতানা তার স্বামীকে তিনটি শর্ত দেয়। শর্তগুলোর মধ্যে ছিল তাকে বাড়ি লিখে দিতে হবে, তার সঙ্গে জালসুকা তার বাবার বাড়িতে থাকতে হবে এবং তার ননদ বাড়িতে আসতে পারবেনা। শর্ত না মানায় সে মাসে একদুইবার এসে কয়েকদিন করে স্বামীর সঙ্গে থাকতো এবং অন্য সময় তার বাবার বাড়িতে থাকতো। গত মঙ্গলবার(১০ এপ্রিল) শিশু নিহানকে তার নানার বাড়ি জালসুকা এলাকা থেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শিশুর বাবা জামাই সৌরবকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান তার শশুর আব্দুল খালেক মাষ্টার। অন্য জেলায় থাকার কারণে সে সময়মত আসতে পারেনি। তবে শিশুর দাদা ও দাদী হাসপাতালে যায় এবং সেখানে এসে তারা দেখেন নিহান মারা গেছে এসময় শিশুটিকে ফেলে রেখে চলে যায় শিশুর মা ও সঙ্গে থাকা লোকজন।
শিশুর বাবা সৌরব হোসেন জোহা জানান, তার সন্তানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার স্ত্রীর জালসুকা এলাকার একজনের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। ওই সম্পকই কেড়ে নিলো তার সন্তানের জীবন।
শিশুর দাদা ইউনুস আলী ও দাদী জাহানার বেগম জানান, তাদের নাতিকে ঘাড় ভেঙ্গে হত্যা করা হয়েছে। তাদের পুত্রবধুর অন্যজনের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। ওই সম্পর্কের কারণেই নিহানকে হত্যা করা হয়েছে।
শিশুর নানা উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক মাষ্টার জানান, তার মেয়ে নিগার সুলতানার সঙ্গে কারও পরকীয়ার সম্পর্ক নেই। তাদেরকে ফাঁসাতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।