মাসুম হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ অনিয়মিত পল্লী বিদ্যুৎ এর কারণে হুমকীর মুখে পড়েছে বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসায়ীরা আর বিপর্যস্থ্য হয়ে পড়েছে জন জীবন। জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।
প্রায় গত ২মাস যাবৎ এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ্য ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে ঝড় বৃষ্টিতে বৈদ্যুতিক তারের উপরে পড়া ডালপালার কারণে সাময়িক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে জানানো হয়েছে।
উপজেলার একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তারা সবাই পল্লি বিদ্যুৎ এর গ্রাহক বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে তাদের জন-জীবন বিপর্যস্থ্য হয়ে পড়েছে। তাদের ঘরে বিদ্যুৎ থাকে না বললেই চলে তবে বিদ্যুৎ মাঝে মাঝে আসে। বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে তারা জোর দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলার মাঝিড়া এলাকার পোল্ট্রি ব্যবসায়ী সুলতান মিয়া জানান, গত ২মাস যাবৎ বিদ্যুৎ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিদ্যুৎ ছাড়া মুরগীর বাচ্চা তাপ দেয়া যায়না আর তাপ না পেলে বাচ্চা মারা যায়। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে জেনারেটর ব্যবহার করছেন। ১শত টাকার তেলে ১ঘন্টা চলে তবে যথেষ্ট পরিমান তাপ হয়না। অনিয়মিত বিদ্যুৎ এর কারণে খামারে মুরগী মারা যাওয়ার পাশাপাশি প্রতি ঘন্টায় অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন তিনি।
উপজেলার ডেমাজানি এলাকার টার্কি মুরগী ব্যবসায়ী এম আর মানিক জানান, তার একেকটা মুরগী ৩থেকে ৫হাজার টাকা দাম। বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকেনা। বিদ্যুৎ অনিয়মিত হওয়ায় ফ্যানের বাতাস দেয়া যাচ্ছেনা। এই খামার তার পরিবারের আয়ের অন্যতম উৎস। অনিয়মিত বিদ্যুৎ তার মতো অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আর্থিক ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
কম্পিউটার টেকনিশিয়ান ফয়সাল ওয়াহিদ জানান, তার ব্যবসা পুরোটাই বিদ্যুৎ নির্ভর। অন্য কোন আয়ের উৎস নেই। বিদ্যুৎ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। অনিয়মিত বিদ্যুৎ তার মতো অনেকের জীবনে আয়ের বাধা সৃষ্টি করছে। এতে তার মতো অনেকেই দূর্বিসহ জীবন যাপন করছেন।
উপজেলার কাটাবাড়িয়া এলাকার আব্দুল মালেক জানান, গত ২মাস যাবৎ বিদ্যুৎ পুরোপুরি অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। দিনে রাতে খুব অল্প সময় বিদ্যুৎ থাকে। প্রচন্ড গরমে রাতে চোরের ভয়ে জানালা খুলে রাখা যায়না আবার গরমে ঘরেও থাকা যায়না। গরম সহ্য করতে না পেরে ছোট সন্তানরা কান্না করে।
শাজাহানপুর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রনের অফিস থেকে বগুড়া শেরপুরের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম আল আমিন চৌধুরী মোবাইল ফোনে জানান, ঝড় বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ এর সাময়িক সমস্যা দেখা দিয়েছে। তারের উপরে হেলে পড়া গাছের ডাল কাটার জন্য বিদ্যুৎ সাময়িক বন্ধ রেখে কাজ করা হয়। শীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সভাপতি আবু জাফর আলীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।