মাসুম হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বনানী পর্যটন মোটেলের সরকার অনুমোদিত বার’র বিরুদ্ধে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ লাইসেন্স বিহীনদের কাছে মদ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে মাদকাসক্ত হচ্ছে কিশোর এবং তারা অবাধ্য হচ্ছে পরিবারের। এমনকি নেশার টাকা না পেয়ে চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা। বিপদগামি সন্তানদের বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকমহল। অপরদিকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস দিয়েছে পুলিশ।
জানাগেছে, উপজেলার বনানী পর্যটন মোটেলের বারে সন্ধ্যা হলেই দলবন্ধ কিশোরদের প্রবেশ করতে দেখা যায়। তারা সবাই স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থী। তারা বার থেকে মদ্যপান করে বেপরোয়া ভাবে মোটর সাইকেল নিয়ে ঘুরাঘুরি করে। এতে সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা এবং হুমকির মুখে পড়ছে তাদের জীবন। নেশার টাকার জন্য তারা বাড়িতে বাবা-মাকে গালিগালজ সহ মারধর করে। বাড়িতে টাকা না পেলে টাকা সংগ্রহ করতে তারা চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এছাড়াও মদ্যপানের লাইসেন্স বিহীনদের কাছেও নিয়মিত মদ বিক্রি করছে পর্যটন বার কতৃপক্ষ। অনেকে সারা দিনের রোজগারের টাকা দিযে মদ্যপান করে বাড়ি ফিরছে। এতে করে তাদের পরিবারে সবসময়ই ঝগরা-বিবাদ লেগেই থাকে । এসব নিয়ন্ত্রনে শাজাহানপুর থানা পুলিশের কোন পদক্ষেপ নেই। এছাড়াও পর্যটন বারের পাশে কৈগাড়ি ফাঁড়ির পুলিশদের সবসময় ডিউটি দিতে দেখা গেলেও তারা পর্যটনে বারে অজ্ঞাত কারণে নজর রাখে না। মাদক নিয়ন্ত্রনে কতটুকু দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ এনিয়েও প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। সরকার অনুমোদিত বারে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে মদ বিক্রি করায় উপজেলায় বাড়ছে কিশোর মাদকাসক্তের সংখ্যা। এতে উৎকন্ঠায় রয়েছে অভিভাবকমহল।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রতিদিন পর্যটন বারে স্কুল-কলেজগামি শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। তারা মদ পান করে বেপরোয়াভাবে মোটর সাইকেল নিয়ে চলাচল করে। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়াও বাড়ির কাছে বার থাকায় এলাকার অনেকেই মদ্যপান করে মাতলামি করে এবং তাদের মদ্যপানের লাইসেন্স নেই। নেশার টাকার জন্য অনেক কিশোর চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি মাদক বিরোধি অভিযান চললেও মদের বার গুলো লাগামহীনভাবে মদ বিক্রি করছে। এতে কিশোর মাদকাসক্তের সংখ্যা বাড়ছে। বারের কাছে সবসময় পুলিশকে ডিউটি দিতে দেখা গেলেও বার নিয়ন্ত্রনে তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক অভিভাবক জানিয়েছেন, তাদের সন্তানরা নিয়মিত পর্যটন বার থেকে মদ পান করে বাড়িতে এসে মাতলামি করে। নেশার টাকা দিতে না পারলে তারা বাড়িতে অশান্তি সৃষ্টি করে। এমনকি টাকার জন্য তারা আত্বহত্যার হুমকিও দেয়। এমতাবস্থায় তারা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানিয়েছেন।
বনানী পর্যটন বার’র ম্যানেজার মিজানুর রহমান জানান, স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ লাইসেন্স বিহীনদের কাছে মদ বিক্রি করা হয় না। আর এই বারের ইজাদার প্রভাবশালী এক ব্যবসায়ী সারাদেশে এরকম কয়েকটি বার তিনি ইজারা নিয়েছেন।
শাজাহানপুর কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, পর্যটন বার কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বিহীন ও কিশোরদের কাছে মদ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।