মাসুম হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার: গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় আওয়ামীলীগনেতা শামছুল আলমকে শালিসে ডেকে ছুিরকাঘাত করা হয়েছে। তিনি উপজেলাধীন বগুড়া শহরের বর্ধিত ১৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ বিষয়ে সামছুল আলম নিজে বাদী হয়ে নামীয় সাতজনসহ অজ্ঞাত তিন/চারজনকে আসামী করে শাজাহানপুর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
জানাগেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক কলেজছাত্রীকে তার বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় মারুফ খানসহ তার সহযোগিরা এমন অভিযোগ করেন ওই ছাত্রীর চাচা শামছুল আলম। ওই ছাত্রী বগুড়ার এক কলেজের এইচ.এসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং মারুফ খান উপজেলার গন্ডগ্রাম দক্ষিণ পাড়া এলাকার রুবেল খানের পুত্র। । ওই অভিযোগে উপজেলার বনানী বন্দরে দুই পরিবার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে গত শুক্রবার শালিস দরবার অনুষ্ঠিত হয়। শালিসে কলেজছাত্রীর বিয়ের রেজিস্ট্রির বিষয় নিয়ে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে মারুফ খানের পিতা রুবেল খান তার দলবলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শামছুল আলমের ওপর হামলা চালায় এবং তার মাথায় ছুরিকাঘাত করা হয়।
শামছুল আলম জানান, তার ভাতিজিকে ফিরে দেওয়া হবে একথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে ডেকে মারুফের পরিবার বিয়ের রেজিস্ট্রির কথা বললে মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি একথা বলে রেজিস্ট্রি করতে রাজি হননি তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেল খানসহ তার ভাড়া করা সন্ত্রাসী বাহিনি তার ওপর হামলা চালায়। তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত তার ভাতিজি উদ্ধার হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে মারুফ খানের দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। গতকাল শুক্রবার রাতে তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রির বিষয় নিয়ে গন্ডগল সৃষ্টি হয় এবং এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে।
শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, বিয়ের রেজিস্ট্রির বিষয় নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।