মাসুম হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রাম দক্ষিণপাড়া গ্রামে ট্রাক হেলপার জালেমিন ইসলাম সিজু (১৮) হত্যা মামলার একমাস পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামী রয়েছে ধঁরা ছোয়ার বাইরে। এখন পর্যন্ত মূল আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় হতবাক হয়েছেন নিহত সিজুর স্বজনরা। এদিকে অন্য আসামীরা জামিনে বের হয়ে এসে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে।
জানাগেছে, গত ১৩ জুলাই প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে জালেমিন ইসলাম সিজু বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গত ৭ জুলাই নিহতের পিতা সহিদুল ইসলাম আটজন নামীয় ও দুইজনকে অজ্ঞাত আসামী করে শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করেন পরবর্তিতে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে অন্তভূক্ত হয়।
নিহত সিজুর মা মিনা বেগম ও পিতা সহিদুল ইসলাম জানান, জুয়ার পাওনা টাকা কেন্দ্র করে তার ছেলে সিজু ও একই এলাকার আব্দুল মতিনের ছেলে রাবিকুল হাসান রাকিবের মধ্যে গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়। প্রায় তিনমাস পর সিজুর পাওনা ১২শত টাকা পরিশোধ করে রাকিব। পরবর্তিতে সিজুর কাছ থেকে চারশত আশি টাকা পাওনাদার থাকে রাকিব। সিজু সময়মত রাকিবের পাওনা টাকা দিতে না পারায় প্রায় তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। এরই একপর্যায়ে গত ৬ জুলাই সন্ধ্যায় গন্ডগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে রাকিব তার ছেলে সিজুকে ছুরিকাঘাত করে এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ জুলাই সিজুর মৃত্যু হয়। মামলার ছয়জন আসামী জামিনে বের হয়েছে। বর্তমানে ওই গ্রামে তারা নিরাপত্তাহিনতায় রয়েছেন। তার ছেলের চিহ্নিত খুনিকে দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। তারা আরও জানিয়েছেন, এভাবে অকালে আর কোন বাবা-মা যেন তাদের সন্তানকে না হারায়। সন্তান হারানোর বেদনা কত কষ্টদায়ক তা বলে বোঝানো যাবে না।
গ্রামবাসিরা জানিয়েছেন, সিজু হত্যা মামলার অনেক আসামী জামিনে বের হয়ে এসে গ্রামে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। ওই মামলার আসামীরা এলাকার বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাজাহানপুর কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির টিএসআই গোলাম মোস্তফা জানান, প্রধান আসামী রাকিবকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।