ডেস্ক নিউজ: বগুড়া শহরের বড়গোলা টিনপট্টির চাঞ্চল্যকর মা মেয়ে খুন ঘটনার রহস্য ঘটনা জানার ৪ ঘন্টার মধ্যে উদ্ঘাটন করেছে বগুড়া জেলা পুলিশ। গতকাল ২০ আগস্ট দিবাগত রাত ১১ টা থেকে ভোর পাঁচটার মধ্যে সংঘটিত এ ঘটনার পিছনে মোটিভ হিসেবে কাজ করেছে ভিক্টিম রুবি বেগমের সাথে মোবারক হোসেন বকুল(১৯) নামক এক সদ্য কৈশোরোত্তীর্ণ যুবকের পরকীয়া প্রেমের ঘটনা। ঘটনার সাথে জড়িত একমাত্র আসামি বকুলকে আজ বেলা ১১ টার দিকে তার নিজ বাড়ি ফুলবাড়ি উত্তরপাড়া থেকে গ্রেফতার করেছে সদর থানার একটা দল। তার পিতার নাম মৃত আব্দুর রাজ্জাক। খুন হওয়া রুবি বেগমের মোবাইল ফোন সেটের পুড়িয়ে ফেলা অংশবিশেষ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঘটনার বিবরনে জানা যায় রুবি বেগমের স্বামী ইউসুফ শেখ বছর দেড়েক আগে জীবিকার প্রয়োজনে সৌদি আরব পাড়ি জমান। এর পর থেকে রুবি বেগমের সাথে ইউসুফের বন্ধু মুকুল এর ছোটভাই বকুলের সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও হয়। গতকাল দুপুরে রুবি বেগমের সাথে বকুলের বিসিক এলাকায় দেখা হয়। সেখানে রুবি বকুলকে রাত এগারটার দিকে আবার টিনপট্টি তেতুলতলায় তার বাড়িতে আসতে বলে। সেই বাড়িতে রুবি বেগমের শাশুড়ি এবং দুই ভাশুর থাকে। দুই ভাশুরই নাইট গার্ড এর চাকুরী করে বিধায় কেউই রাতে বাসায় ছিল না। রাতে বকুল সেখানে এলে পিছনের দরজা দিয়ে রুবি তাকে তার ঘরে ঢুকিয়ে নেয়। সে ঘরে রুবি তার শিশুকন্যা সুরাইয়া(৬) কে নিয়ে থাকে। সেখানে রুবি এবং বকুল পুনরায় শারীরিকভাবে মিলিত হয়। শারীরিক মিলন শেষে রুবি বকুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে একটি চাকু বকুল রুবি বেগমের বুকের ভিতর বসিয়ে দেয়। তার চিৎকারে শিশু সুরাইয়া জেগে উঠলে বকুল তার গলা চেপে খুন করে। এরপর সে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে বাড়ি চলে যায়। সেখান থেকেই আজ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
ঘটনা জানার পর থেকেই জেলা পুলিশের কয়েকটি দল তৎপর হয়ে যায় এবং সম্ভাব্য সকল বিষয় মাথায় নিয়ে তদন্ত শুরু করে। পুলিশ সুপার বগুড়া নিজেই তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সবাইকে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। আধুনিক এবং প্রথাগত বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনার রহস্য ভেদ করে আসামি গ্রেফতার করা হলো।