মাসুম হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের বিএনপিনেতা শফিকুল ইসলাম শফিকের বাড়ি থেকে ১২ টি পেট্রোল বোমা, খয়েরি রঙের ৩ টি কাঁচের বোতল ও ১ বস্তা ইটের টুকরা উদ্ধার করেছে পুলিশ। শফিকুল ইসলাম শফিক ওই ইউনিয়নের বিএনপির সাবেক সভাপতি। এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বগুড়া-৭(গাবতলি-শাজাহানপুর) আসনের সাবেক সাংসদ হেলালুজ্জমান তালুকদার লালুসহ নামীয় ৩৭ জন ও অজ্ঞাত আরো ২৫ জনকে আসামী করে শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশের ভাষ্যমতে, শনিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নে মোস্তাইল বাজারে বিএনপিনেতা শফিকুল ইসলামের বাড়িতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলাম ও এদের অঙ্গ সংগঠনের কিছু দুস্কৃতিকারি নেতা-কর্মি নাশকতামূলক কর্মকান্ড সম্পাদনের জন্য গোপন বৈঠক করছিলো। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এসময় দুস্কৃতিকারিরা পালিয়ে যায়। পরে ওই নেতার বাড়ি তল্লাসি করে পেট্রোল বোমা, কাঁচের বোতল ও ১ বস্তা ইটের টুকরা উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে কথা বলতে সাবেক সাংসদ হেলালুজ্জমান তালুকদার লালুর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে বিএনপির অন্যান্য নেতা কর্মিদের দাবি, পুলিশ পরিকল্পনামতে ষড়যন্ত্রমূলক এই মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এটি সম্পূর্ণ পুলিশের সাজানো নাটক।
এর আগে বিএনপির ৪০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত রোববার( ২ সেপ্টম্বর) উপজেলা দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির আলোচনা সভাশেষে সেখানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ২টি তাজা ককটেল, ৩ টি হাঁসুয়া, ১ টি ছুরি, ১০ টি লাঠি ও ১ বস্তা ইটের টুকরা উদ্ধার করে। বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল বাশারকে প্রধান আসামী করে নামীয় ৩০ জন ও অজ্ঞাত আরো ৩০ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করে। এ ঘটনাকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল বাশার বিএনপিকে প্রতিহত করতে সরকারি অপকৌশল বলে দাবি করেন।
শাজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, এ পর্যন্ত দুই মামলায় কোন আসামী গ্রেফতার নেই।