রবিউল ইসলাম বগুড়া: বগুড়া শহরের সেউজগাড়ি আবাসিক এলাকায় প্রভাবশালীরা মিনি পতিতালয় গড়ে তুলেছে। গোধুলী আবাসিক নামে ওই হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে যৌণ ব্যবসা চলে আসলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়না। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জগৎবন্ধু মন্ডলের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত সেখানে অভিযান চালিয়ে ৯ খদ্দের ও ৯ যৌণকর্মীকে আটক করেন। ম্যানেজার পালিয়ে গেলেও জাহিদুল ইসলাম নামে কেয়ারটেকারকে আটক করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জগৎবন্ধু মন্ডল জানান, গোপনে খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে গৌধুলী আবাসিক হোটেল থেকে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকায় ১৮ যৌণকর্মী ও খদ্দেরকে আটক করা হয়। তারা অপরাধ স্বীকার করলে ভ্রাম্যমান আদালতে প্রত্যেককে ২০০ টাকা করে জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া কেয়ারটেকার জাহিদুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তাকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। কেয়ারটেকার জরিমানার টাকা পরিশোধ করে রেহাই পেয়েছে। তিনি আরো জানান, আদালতকে থানা ও আর্মড পুলিশের সদস্যরা সহযোগিতা করেছে।
এদিকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের পরপরই সরকারি দলের প্রভাবশালী নেতা পত্রিকায় রিপোর্ট বন্ধ ও বিশেষ করে তার নাম প্রকাশ না করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীরা জানান, গোধুলী আবাসিক হোটেলের মালিক বিনয় কুমার দেবনাথ হলেও সরকারি দলের এক প্রভাবশালী নেতা ওই হোটেলকে মিনি পতিতালয় বানিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক এলাকার ওই আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছে। প্রভাবশালী পরিচালকদের ভয়ে কেউ মুখ খোলেন না। ওই পতিতালয়ের কারণে এলাকার সুনাম বিনষ্ট হচ্ছে। এ মিনি পতিতালয় কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসন, সাংবাদিকসহ প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করেই দেহ ব্যবসা করে আসছেন। অতিষ্ট এলাকাবাসীরা এ অভিযানের জন্য ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তারা হোটেলটি সিলগালা করে দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।