Logo




শাজাহানপুরে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ব্যক্তিগত দ্বন্দে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে টানাহেঁচড়া

স্টাফ রিপোর্টার
আপডেট করা হয়েছে : সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মানিকদ্বিপা দি-মুখী উচ্চ বিদ্য্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ব্যক্তিগত দ্বন্দে ব্যবহার করছে দুটি পক্ষ। এতে করে তারা হয়রানির শিকার হচ্ছে ও তাদের পড়াশোনর ক্ষতি হচ্ছে। ফরম পূরনে বাড়তি টাকা আদায়, টেস্ট পরিক্ষায় অকৃতকার্যদের থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে পরিক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ দেয়া, ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত না হওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে এ টানাহেঁচড়া। এতে আতংকে রয়েছে পরিক্ষার্থীরা। তারা পরিক্ষা চলাকালীন এ ধরণের ঝামেলা চাচ্ছে না। পরিক্ষার্থী আয়েশা খাতুন, রিমু আকতার, রানা, মিনহাজ, সামিউল ইসলাম জানান, উপজেলার আড়িয়া রহিমাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় পরিক্ষা কেন্দ্রে প্রথম পরিক্ষা শেষে তারা বের হলে শুরু হয় তাদের নিয়ে টানাহেঁচড়া। ইউনুস আলী নামে এক অভিভাবক তাদের ডেকে ফরম পূরণে বাড়তি টাকা আদায়, টেস্ট পরিক্ষায় অকৃতকার্যদের টাকার বিনিময়ে এসএসসি পরিক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠি না হওয়ার অভিযোগসহ প্রধান শিক্ষক আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে কথা বলতে বলেন। এরপর গতকাল রোববার দুপুরে বিদ্যালয়ের সভাপতি ইনসান আলী তাদেরকে ডেকে বিদ্যালয়ে ফরম পূরণে বাড়তি টাকা আদায় করাসহ কোন ধরণের অনিয়ম হয়নি এমন কথা বলতে বলেন। পরিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, এসএসসি পরিক্ষা চলাকালীন তারা এ ধরণের ঝামেলা চাচ্ছে না। তাদেরকে একবার বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডাকছেন আবার সভাপতির প্রতিপক্ষরা ডাকছেন। এ নিয়ে তারা আতংকে রয়েছেন। বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য তারা ৬’শ টাকা করে জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়নি। তারা টাকা ফেরত পেয়েছেন। এছাড়াও ফরম পূরনে বিজ্ঞান বিভাগের পরিক্ষার্থীরা ৩৫’শ টাকা ও মানবিক বিভাগ ৩৩’শ টাকা করে দিয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপিত ইনসান আলী জানান, পরিক্ষাচলাকালীন সময়ে তার প্রতিপক্ষরা ঝামেলা সৃষ্টি করে পরিক্ষার্থীদের হয়রানি করছেন।

তার ব্যক্তিগত প্রতিপক্ষরা পরিক্ষার্থীদের দিয়ে এ সব বলাচ্ছেন। ফরম পূরণে বাড়তি টাকা নেওয়া হয়নি। নির্দিষ্ট টাকার সাথে শুধু কোচিং ফি নেওয়া হয়েছে। অভিভাবক ইউনুস আলী জানান, পরিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়নি। এ কারণে প্রধান শিক্ষকের ওপর বাচ্চাদের ক্ষোভ ছিলো। সভাপতির ব্যক্তিগত শক্রতার বিষয়ে তার কিছু জানানেই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল আজিজ মুঠোফোনে জানান, পরিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়নি। কিন্তু তাদেরকে প্রবেশপত্র দেয়ার সময় দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইনসান আলীর ব্যক্তিগত দ্বন্দে বিষয়টি নিয়ে একপক্ষ স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.তোফিক আজিজ জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

মন্তব্য





এই ধরনের আরও খবর

ফেসবুকে আমরা




Theme Created By ThemesDealer.Com