Logo




ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি: অভিযুক্ত শিক্ষক ক্ষমা চাওয়ায়, ব্যবস্থা নিলেন না ইউএনও

প্রতিবেদকের নাম :
আপডেট করা হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার কামারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক খায়রুজ্জমান বাদলের বিরুদ্ধে। বুধবার(৩ জুলাই) বিদ্যালয়ের অর্ধবার্ষিক পরিক্ষাচলাকালীন ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করা হয় বলে ছাত্রীর অভিযোগ। অপরদিকে অভিযোগ স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন ইউএনও।
এদিকে বৃহস্পতিবার(৪ জুলাই) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামায়াতনেতা মো. আলাউদ্দিন বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিচার বসিয়ে বিষয়টি আপোষ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভূক্তভোগি ছাত্রী জানায়, বিদ্যালয়ে পরিক্ষা চলাকালীন সহকারি শিক্ষক খায়রুজ্জমান বাদল তার হার্ডবোর্ড কেড়ে নেয়। এ সময় সে শিক্ষকের কাছে এর কারণ জানতে চাইলে তাকে বলে কার্টুনে ছবিযুক্ত হার্ডবোর্ড নেওয়া আসা হবে না। এ কথা বলেই সহকারি শিক্ষক খায়রুজ্জমান বোর্ডের ওপর থুথু দেয়। এরপর সে হার্ডবোর্ড দূরে রেখে দিয়ে লেখা শুরু করে। পরবর্তিতে ওই শিক্ষক তার কাছে আবার এসে তার শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় অনেকবার হাত দিয়ে স্পর্শ করে। এমনকি শিক্ষক খায়রুজ্জমান হাতে থুথু নিয়েও তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে হাত দেয়। এ ঘটনার প্রায় মাস খানেক আগে এই শিক্ষক আরেক ছাত্রীকেও শ্লীলতাহানি করেছে।
ভূক্তভোগি ছাত্রীর পিতা জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অন্যান্য শিক্ষককে নিয়ে বিচার বসিয়ে এটি আপোষ করে দিয়েছেন। বিচারে লম্পট শিক্ষক ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক খায়রুজ্জমান জানান, ‘আমি শুধু ওই ছাত্রীর হার্ডবোর্ডে থুথু দেওয়ার অভিনয় করেছি। আর মাথায় হাত দিয়ে ভালোভাবে লেখার কথা বলেছি। এছাড়াও ওই ছাত্রীর সঙ্গে আমি একটু মশকরা করেছি মাত্র।,
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামায়াতনেতা মো. আলাউদ্দিন জানান, এটা একটা ভুলবোঝাবুঝি ছিলো। বৃহস্পতিবার(৪ জুলাই) বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ বিষয়ে বিচার হয়ে এটা আপোষ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তিনি পরিকল্পনা করে বিষয়টি আপোষ করার জন্যে এই বিচারের ব্যবস্থা করেননি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পূর্বেও ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে। আমরা এই লম্পট শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান জামায়াতনেতা শিক্ষক মো. আলাউদ্দিনের ছত্রছায়ার বারবার বেঁচে যাচ্ছেন এই শিক্ষক। শ্লীলতাহানির ঘটনা প্রধান শিক্ষক কিভাবে আপোষ করে দেয়, এটার প্রশাসনের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তারা জানিয়েছেন।
ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির দাঁয়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মোছা. ফুয়ার খাতুন জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক অভিযোগ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন, সেকারণে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মন্তব্য

মন্তব্য





এই ধরনের আরও খবর

ফেসবুকে আমরা




Theme Created By ThemesDealer.Com