ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী গ্রামের আড়াই বছরের শিশু শিশু রাফি হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। অর্থনৈতিক অভাব-অনটনের কারণেই শিশুটিকে হত্যা করে ডোবায় ফেলে দেন তার মা সেনোয়ার বেগম।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার (এসপি) আনিসুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে জানান, শিশু রাফির বাবা উপজেরার ভেলানগর গ্রামের ফারুক মিয়া। গত আড়াই বছর আগে আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা ধার করে সৌদি আরবে যান। সম্প্রতি ছেলে রাফি বিরল রোগে আক্রান্ত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। সেখানে তার চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে ধার-দেনায় পড়তে হয়। সেই টাকা পরিশোধ করতে না পারায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন রাফির মা সানোয়ারা। এ কারণেই গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) ভোরে রাফিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর বাড়ির পার্শ্ববর্তী ডোবায় ফেলে দেন তার মা। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করে। পরের দিন বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সানোয়ারাকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন ঘাতক সানোয়ারা।
সংবাদ সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মেহেদী হাসান, বিশেষ শাখার (এসবি) সহকারী পুলিশ সুপার আলাউদ্দিন চৌধুরী ও ডিআইও-১ ইমতিয়াজ আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।