বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জাতীয় চার নেতা ছিলেন স্বাধীনতার প্রতীক। তাই স্বাধীনতা বিরোধী খুনি চক্র জাতীয় চার নেতাকে জেল খানায় হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খন্দকার মোস্তাকের মন্ত্রী সভায় অনেকেই যোগদান করলেও জাতীয় চার নেতা তাতে অস্বীকৃতি জানান। তারা জানতেন তাদের পরিণতি বঙ্গবন্ধুর মতই হবে। তারপরও তারা বঙ্গবন্ধুর সাথে বেইমানী করেননি। নীতি-আদর্শের ক্ষেত্রে তারা কোন আপোষ করেননি। বাংলাদেশের মাটিতে তাদের ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিচারের কাজ শুরু করলেও পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত সরকার এই বিচার কাজে প্রভাব বিস্তার করে কে এম ওবায়দুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেমদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়। যা অত্যন্ত লজ্জাজনক। তারা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিরুদ্ধে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। তারা আসলে আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না। অথচ আজ তারা সুশাসন নিয়ে কথা বলে। জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে আছেন ততদিন বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে চলবে। ষড়যন্ত্র করে এ অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করার অপচেষ্টা সফল হবে না। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলি বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. মকবুল হোসেন। আরো বক্তব্য রাখেন তোফাজ্জল হোসেন দুলু, এড. আব্দুল মতিন, আবুল কালাম আজাদ, এড. মকবুল হোসেন মুকুল, এড. রেজাউল করিম মন্টু, এড. আমানুল্লাহ্, রাগেবুল আহসান রিপু, টি জামান নিকেতা, মঞ্জুরুল আলম মোহন, প্রদীপ কুমার রায়, আসাদুর রহমান দুলু, মুনছুর রহমান মুন্নু, এড. জাকির হোসেন নবাব, সুলতান মাহমুদ খান রনি, শেরীন আনোয়ার জর্জিস, এড. শফিকুল আলম আক্কাস, কামরুন্নাহার পুতুল, আনিছুজ্জামান মিন্টু, এস এম রুহুল মোমিন তারিক, এবিএম জহুরুল হক বুলবুল, মাশরাফী হিরো, আলরাজী জুয়েল, তপন চক্রবর্তী, আছালত জামান, রফি নেওয়াজ খান রবিন, আবু সুফিয়ান সফিক, মাফুজুল ইসলাম রাজ, শাহাদৎ হোসেন শাহীন, ওবায়দুল হাসান ববি, এডনিস বাবু তালুকদার, অধ্যক্ষ খাদিজা খাতুন শেফালী, সুরাইয়া নিগার সুলতানা ডরথী, আলমগীর বাদশা, আব্দুস সালাম, সাজেদুর রহমান শাহীন, আমিনুল ইসলাম ডাবলু, জুলফিকার রহমান শান্ত, এড. লাইজিন আরা লিনা, ডালিয়া নাসরিন রিক্তা, নাইমুর রাজ্জাক তিতাস, অসীম কুমার রায়, রাশেদুজ্জামান রাজন প্রমুখ। এর আগে সকাল ৭টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সোয়া ৭টায় বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
বার্তা প্রেরক:
মাশরাফী হিরো
উপ-দপ্তর সম্পাদক
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ।