স্টাফ রিপোর্টার গাইবান্ধা : সরকারী প্রকল্পের প্রয়োজনে ভূমি অধিগ্রহণে জমির মালিককে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে কৃষি জমি অধিগ্রহণ করে সরকারী প্রকল্প বাস্তবায়ন না করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ২০১৭ সালের জমি অধিগ্রহন আইন অনুযায়ী জমির দাম তিনগুন পরিশোধের পাশা-পাশি ক্ষতিগ্রস্থদের পুনবার্সনের নির্দেশনা দিয়েছেন। জমি অধিগ্রহন আইন অমান্য করে ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ না দিয়ে রংপুর-বগুড়াগামী এশিয়ান হাইওয়ে বিশ্বরোড সংলগ্ন ১৪৭ দাগে ১.০৬ একর জমি অধিগ্রহণ করেন গাইবান্ধা সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এ অভিযোগ উত্থাপন করে ভুক্তভোগী মারুফুর রহমান, পিতা: আব্দুল মোত্তালিব মন্ডল, পিতা: মৃত. লাল মিয়া গাছু উভয়ের সাং: বিশ্বনাথপুর, উপজেলা: গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা। ছামিউল মন্ডল, জয়নাল আবেদীন মন্ডল উভয়ের পিতা: শামস উদ্দিন মন্ডল, মারুফা আরজুমান পারভীন জং-জয়নাল আবেদীন মন্ডল, সর্ব সাং-মধ্য রামচন্দ্রপুর, উপজেলা পলাশবাড়ী, জেলা গাইবান্ধা। তারা সকলে স্ব-শরীরে বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাব গাইবান্ধা (গোরস্থান মোড়) উপস্থিত হয়ে দ্রুত প্রতিকার চেয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা উত্থাপন করেন ১৪৭ দাগে ১.২১ একর, ১৪৮ দাগে ০.৬৭ একর মোট ২.৩৬ একর জমি ভোগদখল করিয়া আসিতেছে। এর মধ্যে রংপুর-বগুড়াগামী এশিয়ান হাইওয়ে বিশ্বরোড সংলগ্ন ১.০৬ একর জমির মধ্যে একটি চাল কল , চাতাল, গোডাউন ও অন্যান্য স্থাপনা রয়েছে। গাইবান্ধা গত ২০/১০/২০১৯ ইং তারিখ হইতে রাস্তা সংলগ্ন মিলঘর, চাতাল, চাতালের ঘর অপসারণের নিমিত্তে সড়ক ও জনপদ বিভাগ শাসন গর্জন করিয়া আসিতেছেন। গত ২৯/১০/২০১৯ তারিখে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ চৌকি আদালতে বাদীগণ অধিকরণ আইন অনুযায়ী জমির ধার্য্যকৃত মূল্য চেয়ে একটি মামলা দায়ের করে। যাহার নং-২৫৯,মামলা করার পাঁচ দিন পর গত ০৪/১১/২০১৯ ইং তারিখে তাদেরকে নোটিশ না করে গাইবান্ধা সড়ক ও জনপদ বিভাগ বল্ডুজার দিয়ে মিল, কারখানা, চাতাল ও অন্যান্য স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করলে বিজ্ঞম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট জিনিস পত্রাদি অপশারনের সময় চাইলে কর্তৃপক্ষ তাদেরকে কোন সময় দেয় না ।