ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবিলায় সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় ও দুর্যোগ পরবর্তী সব প্রকার সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব পদাতিক ডিভিশন। ইতোমধ্যে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় সেনা মোতায়েন সম্পন্ন হয়েছে।এদিকে বর্তমানে বাংলাদেশের উপকূল থেকে ২৫০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। বেড়েছে গতিবেগও। ইতোমধ্যে উপকূল এলাকায় ঝড়ের অগ্রভাগের তাণ্ডব শুরু হয়ে গেছে। বৃষ্টির সঙ্গে বইছে ঝড়ো হাওয়া।আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।শনিবার সন্ধ্যায় উপকূল অতিক্রম করা শুরু করলে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে এটা উপকূল অতিক্রম করে যাবে। এরপর এটি দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বরিশাল, ঢাকা, কুমিল্লা অঞ্চল দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।সুন্দরবন অতিক্রম করার পর ঘূর্ণিঝড়ের বেগ অনেক থাকবে। বিকেল ৪টা বা ৫টা থেকে ধরলে আগামী ২৪ ঘণ্টা পুরো বাংলাদেশে এর প্রভাব থাকবে। রংপুর বিভাগে প্রভাব একটু কম থাকলেও সারাদেশেই এর প্রভাব থাকতে পারে। বুলবুল-এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকায়ও বৃষ্টি হচ্ছে শুক্রবার থেকে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরও রয়েছে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায়।এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।