ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শনিবার (৯ নভেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে আঘাত হানে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ ও সাগরদ্বীপ হয়ে স্থলভাগে ঢোকে ঝড়টি।দেশটিতে এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়িঘর, ভেঙে পড়েছে অনেক গাছপালা, উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। সুন্দরবন উপকূলে আছড়ে পড়ার আগে কিছুটা শক্তিক্ষয় হয় বুলবুলের। ফ্রেজারগঞ্জ, সাগরদ্বীপ, বকখালি হয়ে স্থলভাগে ঢোকার পর অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় থেকে শুধু ভয়ঙ্করে রূপ নেয় বুলবুল। পশ্চিমবঙ্গে তাণ্ডব শেষে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড়টি।পশ্চিমবঙ্গে বুলবুলের প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, ব্যাঘাত ঘটে যান চলাচলে। রাতব্যাপী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও।বুলবুলের তাণ্ডব থেকে সুরক্ষায় পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকা থেকে প্রায় দেড় লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ।এদিকে রাতে বিমান ও ট্রেন পরিসেবা বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।বুলবুলের প্রভাবে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। পণ্ড হয়ে গেছে বাংলাদেশ বইমেলা।