গোলাম রব্বানী শিপন, স্টাফ রিপোর্টার :বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের আরজি পারআচঁলাই ও পার টেপাগাড়ী নামক স্থানে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে একটি সংস্থা বালু সরবরহ করার চেষ্টা কালে আশেপাশের জমির মালিকেরা ক্ষতির আশংকায় বালু তুলতে বাধা প্রদান ও বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেন। দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নাগর ইউনিয়ন ও মোকামতলা ইউনিয়নের মধ্যেবর্তী স্থান আরজি পারআচঁলাই ও পার টেপাগাড়ী নামক স্থানে এক ফসলি জমিতে মোকামতলা ইউনিয়ন আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক রাজা চৌধুরী ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বিটবালু সরবরাহের জন্য এমকেএস মনিকো কনস্ট্রাকশনের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তোলার জন্য প্রস্তুতি নিলে ঐ স্থানের আশপাশের জমির মালিকরা বাঁধা প্রদান করে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিবগঞ্জ থানার ওসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী জমির মালিক সাজেদুল, আঃবারী, সিরাজুল, রনি, রুমান, সোহাগ, রেজাউল করিম, রাহেলা, রুহুল আমিন, মরিয়ম বেগম, জিয়া, জিহাদ, জুলফিকার, জালাল উদ্দিন, হান্নান, ওবায়দুল, নজরুলসহ প্রায় ৩৫-৪০জন কৃষক বলেন, আমাদের প্রায় ৩০ বিঘা জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে বালু তোলার পায়তারা চলছে, আমরা উদ্ধতন কর্মকতাদের নিকট আমাদের শেষ সম্বল জমি রক্ষার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। জানতে চাইলে চুক্তিবদ্ধ জমির মালিক রাজা চৌধুরী বলেন, আমার সাথে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের কাজের জন্য এমকেএস মনিকো কনস্ট্রাকশনের সাথে চুক্তি হয়েছে, ভুক্তভোগী এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছে, এমকেএস মনিকো কনস্ট্রাকশন যদি উর্দ্ধোতন কর্মকতাদের কাছ থেকে অনুমতি পায় তাহলে বালু তোলা হবে, আর যদি না পায় তাহলে তোলা সম্ভব হবে না। এবিষয়ে মোকামতলা ইউপি চেয়ারম্যান মোকলেছার রহমান খলিফার বলেন, এবিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। বালু উত্তোলন সম্পর্কে শিবগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি, বালু কোন ভাবেই তুলতে দেওয়া হবে না। তবে সচেতন একটি মহল মনে করছেন, এলাকাবাসীর ফসলি জমির ক্ষতি করে বালু উত্তোলন না করাই শ্রেয়।