বুধবার বগুড়ায় রেল চালকের বুদ্ধিমত্তায় বড় দুঘটনা থেকে রক্ষা পেল দোলন চাঁপা আন্তঃনগর ট্রেনটি। তবে ওই ঘটনায় দু’জন আহত হলেও কয়েক’শ মানুষ দুঘটনা থেকে রক্ষা পয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। রেল লাইনের উপর অবৈধ দোকানগুলোই ওই দুঘটনার কারণ বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষসহ আশেপাশের লোকজন।জানাগেছে, রেল স্টেশন থেকে মাত্র ত্রিশ গজ দুরেই একযুগেরও বেশি সময় ধরে বগুড়া রেলস্টেশন থেকে একনম্বর ঘুমটি পর্যন্ত প্রায় তিনশতাধিক অবৈধ কাপড়ের দোকান রেল লাইনের উপর বসেছে। বগুড়ার পুরাতন কাপড়ের বড় মার্কেট এটি। মার্কেটটিকে “ হটাৎ মার্কেট” হিসেবে সবাই জানে। নিম্ন আয়ের এবং মধ্যবিত্তদের নতুন পুরাতন কাপড় কেনার বড় মার্কেট এটি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক হাজার ক্রেতার সমাগম ঘটে। বছরে একবার করে রেল থেকে ওইসব দোকান উচ্ছেদ করলেও দুই তিনদিন পরে আবারও দোকান আগের মতো বসে। মূল রেল লাইনের উপর তাবু টানিয়ে এসব দোকান বসানো হয়েছে। ট্রেন চলে আসলেই দ্রæত তাবুগুলো সরে ফেলা হয়। কয়েক বছরে প্রায় ৭/৮ জন ক্রেতা এবং বিক্রেতার প্রাণহানি ঘটেছে ওই হটাৎ মার্কেটে।বগুড়ার রেলস্টেশনের স্টেশন মাষ্টার আবুল কাশেম জানান, দুপুর ১১টায় দোলন চাঁটা আন্তঃনগর ট্রেন বনারপাড়া থেকে বগুড়ায় আসছিল। অপরদিকে আরেকটি আন্তঃনগর ট্রেন লালমনি এক্সপ্রেক্স ঢাকা থেকে বগুড়ায় স্টেশনে আসতে থাকে। সিগন্যাল এবং পয়েন্ট ঠিক করে দোলনচাঁপা ট্রেনটির জন্য দুইনম্বর লুপ লাইনে এবং লালমনি এক্সপ্রেক্সকে একনম্বর লাইনে আসার নির্দেশনা ঠিক করা হয়। দোলনচাঁপা ট্রেনটি হুইসেল দিতে দিতে দুইনম্বর লুপ লাইনদিয়ে স্টেশনে আসতে থাকে। অবৈধ হটাৎ মার্কেটের দোকানদারদের ধারনা ওই ট্রেনটি একনম্বর লাইন দিয়ে আসবে। তাই তারা দোকানের তাবু সরাইনি। কিন্তু যখন ট্রেনটি দুইনম্বর লুপ লাইন দিয়ে হুইসেল দিতে দিতে আসতে থাকে তখন দোকানদার এবং ক্রেতারা চিৎকার করে এদিকওদিক দৌড়ে পালাতে থাকে। ট্রেন চালক দ্রুততার সাথে ট্রেনটি ব্রেক করায় দোকানের মালামাল নষ্ট হলেও কোন প্রাণ হানি ঘটেনি। বগুড়া জিআরপি ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত ইন্সেপেক্টর কায়কোবাদ জানান, ঘটনাটি জানার পরে সেখানে আমরা দ্রæত যাই। কিন্তু কোন আহত কিংবা নিহত ব্যক্তির খোঁজ পাইনি। তবে আশেপাশের লোকজন জানিয়েছে চারপাঁচজন ক্রেতা আহত হয়েছেন।
বগুড়া ফায়ার স্টেশনের সিনিয়ন স্টেশন মাষ্টার বজলুর রশিদ জানান, দুইজন আহত হয়েছে। এরা হলেন, গাবতলী উপজেলার রুমি খাতুন (৩০) এবং দুপচাঁচিয়া উপজেলার মানিক (৫৫)। তাদের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে আরও কয়েকজনের কথা শুনলেও তাদের খুঁেজ পাওয়া যায়নি।