এস আই সুমনঃ ১ ডিসেম্বর রোববার সকাল ৬টা থেকে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘট ডেকেছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরী মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরী মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এ মোমিন দুলাল জানান, আমাদের দাবীর পরেও জ্বালানি মন্ত্রনালয় কোন পদক্ষেপ নেয়নি। সে কারনে আমরা ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হচ্ছি।গত ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার সংগঠনের রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির আয়োজনে বগুড়া প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষনা দেন তারা ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ১৫ দফা দাবী মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আল্টিমেটাম দেন। সংবাদ সম্মেলনে ধর্মঘটের কর্মসূচী ঘোষনা করেন বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মিজানর রহমান রতন।১৫ দফা দাবীর মধ্যে রয়েছে, জ্বালানী তেল বিক্রির প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে সাত শতাংশ প্রদান, জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট নাকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান-বিষয়টি সুনির্দিষ্টকরন, প্রিমিয়াম পরিশোধস্বাপেক্ষে ট্যাংকলরীশ্রমিকদের ৫ লক্ষ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রথা প্রণয়ন, ট্যাংকলরীর ভাড়া বৃদ্ধি, পেট্রোল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রোল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল , পেট্রোল পাম্পে অতিরিক্ত পাবলিক টয়লেট, জেনারেল ষ্টোর ও ক্লিনার নিয়োগের বিধান বাতিল, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক পেট্রোল পাম্পের প্রবেশ দ্বারের ভুমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতিত অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল , বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডার গ্রাউন্ড ট্যাংক ৫ বছর অন্তর বাধ্যতামুলক ক্যালিব্রেশনের সিদ্ধান্ত বাতিল, ট্যাংকলরী চলাচলে পুলিশি হয়রানী বন্ধ , সুনির্দিষ্ট দপ্তর ব্যতিত সরকারী অন্যান্য দাপ্তরিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ডিলারবা এজেন্টদেরকে অযথা হয়রানী বন্ধ , নতুন কোন পেট্রোল পাম্প নির্মানের ক্ষেত্রে সংশি¬ষ্ট বিভাগীয় জ্বালানী তেল মালিক সমিতির ছাড়পত্রের বিধান চালু , পেট্রোল পাম্পের পাশে যেকোন স্থাপনা নির্মানের পূর্বে জেলা প্রশাসকের অনাপত্তি সনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক ও বিভিন্ন জেলায় ট্যাংকলরী থেকে জোরপূর্বক পৌরসভার চাঁদা গ্রহণ বন্ধ করতে হবে।বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরী মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এ মোমিন দুলাল জানান, মন্ত্রনালয় আমাদের বিষয়টি আমলে নেয়নি। আমাদের মূল দাবী তেলের কমিশন। আমরা তেল উত্তোলন, বিপনন এবং পরিবহন করি কিন্তু উৎপাদন করিনা। এরসাথে বিশেষ দাবী রয়েছে। বিশেষ দাবীগুল হল, আমরা তেল উৎপাদন করিনা। কিন্তু কল কারখানা আইনে আমাদেরকে চালাতে বলা হচ্ছে। শব্দ দুষন সহ অনেক বিষয়েই আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।দুলাল আরো জানান, সরকারকে বিব্রত করতে আমলারা এসব বিষয় আমাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। আর দোষারপ করছে আমাদের। বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে ভাবা উচিৎ। তিনি আরো জানান, রাজশাহী, রংপুর, খুলনার পর এর সমাধান না হলে অনান্য বিভাগেও এ ধর্মঘট প্রসারিত হবে।