রহমান ,বগুড়ার পল্লীতে পাষন্ড স্বামী কর্তৃক যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে মারপিট ও হত্যার চেষ্টা অতঃপর স্বামীসহ ৪ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা ও স্থানীয় একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়নের সৈয়দ দামগাড়া মোড়ল পাড়া গ্রামের ফজলুল বারীর পুত্র মোঃ মাশকুরুল আলম (২৮) কর্তৃক একই গ্রামের বাবর আলীর কন্যা মোছাঃ সুলতানা সৌদি আরবে থাকাবস্থায় মাশকুরুল আলমের সহিত মোবাইলে যোগাযোগ হয়। সুলতানা বিগত ২২ /০৭/১৭ খ্রিঃ তারিখে দেশে আসলে তাদের বিবাহ সুসম্পন্ন হয়। কিছুদিন ঘর সংসার করার পর সুলতানা পুনরায় স্বামী মাশকুরুলের পরামর্শ ক্রমে আবার ও সৌদি আরব গমন করে। সুলতানা সৌদিতে থাকা অবস্থায় তার অর্জিত অর্থ দেশে স্বামী মাশকুরুলের একাউন্টে প্রেরণ করে। সুলতানা দেশে আসলে তার স্বামী মাসকুরুল সুলতানার পিতার নিকট ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক নিয়ে তার বাড়ীতে আসতে বলে। এ ঘটনায় সুলতানা বগুড়া জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে। আসামীগন উক্ত মামলা বিষয়ে জানতে পাইয়া অনুতপ্ত হইয়া গত ২৯/১১/২০১৯ খ্রিঃ তারিখ শুক্রবার রাতে আপষে ঘর সংসার কারার কথা বলিয়া কৌশলে নিজ বাড়ীতে নিয়ে যায়। আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে সুলতানার পিতার নিকট ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। সুলতানা অসহায় পিতার নিকট থেকে টাকা দিতে রাজি না হলে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে সুতানার চুলের মুঠি ধরে টানা হেচরা করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলাফুলা জখম করে ও হত্যার উদ্দেশ্যে পরনের ওড়না দ্বারা গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। আহত অবস্থায় বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে সুলতানাকে ভর্তি করা হয়। গত ০১/১২/১৯ খ্রিঃ তারিখে সুলতানার পিতা বাবর আলী বাদী হয়ে মোঃ মাশকুরুল আলম, মোঃ ফিজুল, মোছাঃ মোসলেমা বেগম ও ফজলুল বারীসহ ৪ জনকে আসামী করে জেলা বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন বিশেষ ট্রাইবুন্যাল আদালতে-২ এ মামলা দায়ের করেন যার নং-২৫০/২০১৯ খ্রিঃ আইনের ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) এর ১১ (খ) (গ)/৩০ ধারা। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের জন্য দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।