Logo




গাইবান্ধায় জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

প্রতিবেদকের নাম :
আপডেট করা হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

ওবাইদুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার : নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে গাইবান্ধায় জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার  দুপুরে সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ভাটপাড়া ঠাকুরবাড়ী মাঠ প্রাঙ্গনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসকেএস ফাউ-েশনের ইমেজ প্লাস প্রকল্পের উদ্যোগে এই আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। চেঞ্জমেকার মো. বিজয় সরকার মাছুমের সঞ্চালনায় ও ইমেজ প্লাস প্রকল্পের ম্যানেজার কানিজ হুসনা আফরোজা পলির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী মোদাচ্ছেরুজ্জামান মিলু, সিভিল সোসাইটি ফোরামের সদস্য ও সাংবাদিক রওশন আলম পাপুল, বিবাহিত কিশোরী আসমা বেগম, ময়না বেগম, দোলেনা বেগম ও পলি আক্তার প্রমুখ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাটিকা ‘টুম্পার সংসার’ পরিবেশন করেন চেঞ্জমেকাররা। নাটকে অংশগ্রহন করেন মো. বিজয় সরকার মাছুম, আর্জিনা বেগম, রাশু ম-ল, জেসমিন আক্তার, কুলসুম বেগম, কণিকা আক্তার, ময়না বেগম ও জিনাত আরা। ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষের উল্লেখযোগ্য দিবসগুলো হচ্ছে ২৫ নভেম্বর নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ দিবস (আন্তর্জাতিক), ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস, ২ ডিসেম্বর দাসমুক্ত দিবস, ৩ ডিসেম্বর প্রতিবন্ধী দিবস, ৫ ডিসেম্বর স্বেচ্ছাসেবী দিবস, ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবস (জাতীয়) ও ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস (আন্তর্জাতিক)। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সমাজের বিভিন্নক্ষেত্রে নারীদের সাফল্য দেখা গেলেও নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১ হাজার ২৫৩ জন নারী, ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ২০০ জন নারীকে এবং যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে ২২১ জন নারী, ধর্ষণের শিকার ৭৬৭ জন শিশু, ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১৩৫ জন শিশুকে এবং যৌন হয়রানীর শিকার হয়েছে ৮০ জন মেয়ে শিশু এবং ২৬ জন ছেলে শিশু। যা খুবই উদ্বেগজনক। তাই নারী ও শিশু নির্যাতনরোধে কমিয়ে আনতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এ ছাড়া গর্ভকালীন সময়ে চারবার চেকআপ করাতে হবে গর্ভবতী মাকে। এই সময়ে গর্ভবতী মাকে খুব যতœ নিতে হবে। ভারী কোন কাজ করতে দেওয়া যাবেনা তাকে। অনুষ্ঠানে বাল্যবিবাহসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় যে কেউ সরকারি হেল্পলাইন ১০৯ নম্বরে ও জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে বিনামূল্যে কল দিয়ে পুলিশের সাহায্য নিতে পারবেন বলে জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন ফিল্ড ফ্যাসিলেটেটর হামিদা বানু রিকতাসহ অল্প বয়সের বিবাহিত কিশোরী (ইএমজি), ইএমজিদের শাশুড়ি, অবিবাহিত কিশোরী, স্পাউজ ফোরাম ও সাংবাদিক শাহাদৎ হোসেন মিশুকসহ দুই শতাধীক মানুষ।

মন্তব্য

মন্তব্য





এই ধরনের আরও খবর

ফেসবুকে আমরা




Theme Created By ThemesDealer.Com