এস আই সুমনঃ মহাস্থান (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার পীরগাছা সাবেক পাড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের চলাচলের রাস্তা কেটে নিজের জমিতে একাকার করে নিয়েছে এলাকার প্রভাবশালী মহল। অবরুদ্ধ প্রায় ১হাজার গ্রামবাসী এখন চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে পুলিশ দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে অসহায় ভুক্তভোগী পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে ভুক্তভোগী গৃহবন্দী পরিবার গুলো অদ্যই শুক্রবার বিকেল ৩টায় পীরগাছা – কাগইল আঞ্চলিক রাস্তায় মানব বন্ধন করে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।এই গ্রামের বাসিন্দাভুক্তভোগী জাহিদুল ইসলাম, জালাল উদ্দিন, আবু সালেক, আমিনুর রহমান, খাজা মিয়া জনান, দীর্ঘ ২’শ বছর ধরে ওই রাস্তা দিয়ে তারাসহ তাদের পূর্বপুরুষ যাতায়াত করে আসছে। জনগণের চলাচলের ওই রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে নিজের ক্ষেত করেছে পাশের জমির প্রভাবশালী মালিক ডাঃ রাজু, তার ভাই মাজু ও কামাল।এতে করে ওই এলাকার ১হাজার পরিবার গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী আরও জানান, তাদের পায়ে হাটা একমাত্র এই রাস্তাটি নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে কেটে বিলীন করে বীরদর্পে চলে যায় ডাঃ রাজু, মাজু ও কামাল। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৮/৯’শ মানুষের বসবাস ঐ গ্রামের বাসিন্দা । বর্তমান গাবতলীর পীরগাছা চাউল বানিজ্য বিখ্যাত। সে কারণে এখানে গড়ে উঠেছে অনেক চাউল (কল) চাতাল। এসব চাতালের অনেক শ্রমিকের বতসবাড়ি এ গ্রামে। এসব অসহায় ব্যক্তিদের চলাচলের একমাত্র পায়ের রাস্তা বন্ধ করায় তারা এখন অন্যের বাড়ির ওপর দিয়ে যাতায়াত করছেন। একই কথা বলেন, গৃহবধূ শাহেরা বেগম। তিনি বলেন, যুগযুগ ধরে আমাদের চলাচলের রাস্তা পুলিশের ভয় দেখিয়ে জবর দখল করে নিয়েছে অভিযুক্তরা। রাস্তাটি না থাকায় আমাদের ছেলে মেয়েরা ঠিকমত বিদ্যালয়,মাদ্রাসা, কলেজে যেতে পারছে না।কান্না জড়িত কন্ঠে গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি হারেজ উদ্দিন বলেন, আমাদের বাপ-চাচারা সে সময় বাড়ি থেকে বের হওয়ার একমাত্র পথ এই রাস্তাটি তৈরি করেছেন। এতে করে আমরা পুরো পরিবার গুলো বন্দী হয়ে পড়েছি। এ বিষয়ে জমির মালিক ডাঃ রাজুর সাথে ফোনে কথা বললে তিনি জানান, জমির পূর্বপাশে আরও অনেকের জমি রয়েছে, তারা রাস্তা ছাড়লে আমিও ছাড়বো, এটি আমাদের বিষয় আমরা ভাল বুঝবো। বিষয়টি দ্রুত নিরসন করে অসহায় পরিবার গুলোর চলাচলের পায়ে হাটা একমাত্র রাস্তাটি পূনরায় তৈরী করার জন্য ভুক্তভোগী এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।