বাবা অফিসে বসে দেখছিলেন গৃহকর্মী সন্তানকে পেটাচ্ছে
প্রতিবেদকের নাম :
আপডেট করা হয়েছে :
রবিবার, ২২ মার্চ, ২০২০
শেয়ার করুন
বাবা-মা দুজনেই চাকরি করেন। দেড় বছরের ছোট সন্তানকে রেখে যান বাসায় গৃহকর্মী রেখা খাতুনের কাছে। কিন্তু সেই গৃহকর্মী বাবা-মার অনুপস্থিতিতে শিশুটিকে নির্দয়ভাবে মারছেন। আর এ দৃশ্য অফিসে বসে দেখছিলেন অসহায় বাবা। ডা. মো. রকিউর রহমান রাকিব কুষ্টিয়া মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের লেকচারার পদে চাকরি করেন। অন্যদিকে তার স্ত্রী ডা. শারমীন আক্তার কুষ্টিয়া বক্ষব্যাধী হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার। এই দম্পতির তৃতীয় সন্তান শিশু শাহাম রহমান।কুষ্টিয়া শহরের পূর্ব মজমপুর এলাকার মনামী ক্রিস্টাল প্রালেসে এ দম্পতি বসবাস করেন। দু’জনেই চাকরি করায় শাহাম রহমানকে বাসায় গৃহকর্মী রেখার কাছে রেখে যান তারা। কিছুদিন ধরেই সন্তানের অস্বাভাবিকতা দেখে বাবা রাকিবের সন্দেহ হয়। যে কারণে তিনি দ্রুত নিজের বাসায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেন। আইপি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ তিনি নিজের স্মার্টফোনেই লাইভ দেখতে পারেন। গত ১৪ মার্চ অফিসে বসে দেখেন গৃহকর্মী রেখা তার সন্তানকে নির্যাতন করছেন। শিশুটিকে এলোপাতাড়ি আঘাত করছে গৃহকর্মী। এ দৃশ্য দেখার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ছুটে যান বাসায়। উদ্ধার করেন সন্তানকে। এ ঘটনায় গত ১৬ মার্চ রাতে কুষ্টিয়া সদর থানায় শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০১৩ (সংশোধিত ২০১৮) এর ৭০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন বাবা রকিউর রহমান রাকিব। এ ঘটনায় পরে অভিযুক্ত গৃহকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ বিষয়ে শিশুটির বাবা জানান, আমি একজন অসহায় বাবা, যাকে দেখতে হয়েছে দেড় বছরের সন্তানকে বীভৎস মারের দৃশ্য! এই নির্যাতনের দৃশ্য দেখেও কিছু করতে না পারার আক্ষেপে পুড়ছি আমি। কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার , গৃহকর্মীর দ্বারা শিশু নির্যাতনের ঘটনায় গত ১৬ মার্চ সিসিটিভি ফুটেজে মারধরের চিত্র পাওয়ার পর পরিবার মামলা করে। এ ঘটনায় সেদিনই গৃহকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।