মাসুম হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ায় বেসরকারি হাসপাতাল গুলো চিকিৎসক শূন্য হয়ে পড়েছে। এমনকি হাসপাতালের নোটিশ বোর্ডে টাঙানো হয়েছে ‘বিশেষ নোটিশ’। সেখানে লেখা হয়েছে ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাক্তারের চেম্বার বন্ধ থাকবে’।
শুক্রবার(২৭ মার্চ) দুপুরে বগুড়ার কানছগাড়ি এলাকায় অবস্থিত ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে কোন চিকিৎসকই নেই।। কথা হয় হাসপাতালের কাস্টমার কেয়ার অফিসার আবদুর রহীম জনীর সঙ্গে। তিনি জানালেন, ‘করোনা ভাইরাসের আতংকে কোন চিকিৎসকই চেম্বারে আসছেন না। রুগী নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। অবশ্য রুগীর সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে, আগের তুলনাই।’
এখান থেকে বের হয়ে বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থিত পপুলার ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, শামসুন নাহার ক্লিনিক ও ডক্টরস ক্লিনিক(ইউনিট-২) ঘুরে দেখা হয়।
প্রথমে পপুলার ডায়নস্টিক সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কোন চিকিৎসক নেই। অনুসন্ধান বিভাগে বসে আছেন হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা আলী হাসান। তিনি জানান, ‘করোনা আতংকে চিকিৎসকরা চেম্বারে আসছেন না। বর্তমানে তিনজন চিকিৎসক চেম্বারে বসেন। আগে প্রায় পঞ্চাশজন চিকিৎসক নিয়মিত চেম্বারে বসতেন।
এই হাসপাতালের পাশেই অবস্থিত শামসুন নাহার ক্লিনিক। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে চিকিৎসকদের কোন চেম্বারই খোলা নেই। সুলতান নামে একজন তার চাচীকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। এখন পর্যন্ত কোন ডাক্তার তার চাচীকে দেখেননি। তিনি জানান, তার চাচীর কিডনির সমস্যা রয়েছে। এই হাসপাতালে আজ ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ডাক্তার আসেননি। হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাকে বলেছেন, ডাক্তারকে বলা হয়েছে। একটু পর আসবেন। সেই চিকিৎসকের অপেক্ষায় তিনি বসে আছেন।
এখান থেকে যাওয়া হয় ডক্টরস ক্লিনিকে, সেখানে গিয়ে তাদের নোটিশ বোর্ডে কয়েকটি ‘বিশেষ নোটিশ’ চোঁখে পড়ল। সেগুলোতে লেখা আছে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাক্তারের চেম্বার বন্ধ থাকবে। সেখানে কথা হয় ক্লিনিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফাহমিদা জামীনের সঙ্গে। তিনি জানান, ‘আমাদের এখানে প্রায় ১২ জন চিকিৎসক নিয়মিত বসতেন। কিন্তু বর্তমানে দুই-একজন চিকিৎসক চেম্বারে বসেন।’
কিন্তু যে ক্লিনিক গুলো থেকে বলা হয়েছে, বর্তমানে এক থেকে তিনজন পর্যন্ত চিকিৎসকের চেম্বার খোলা থাকে। তা আদৌ সত্য কিনা তার প্রমাণ মেলেনি। হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসকরে কোন চেম্বারই খোলা দেখা যায়নি।
গোপন এক সূত্রে জানাগেছে, অনেক অনুরোধ করে দুই-একজন চিকিৎসককে নিয়ে আসা যায়। এছাড়া সব চিকিৎসকই করোনা ভাইরাস আতংকে চেম্বার ছেঁড়েছেন।