গোলাম রব্বানী শিপন, বিশেষ প্রতিনিধি: যেখানেই অনিয়ম দূর্নীতি ও অবৈধ কার্যকলাপ সেখাই শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর কবিরের অভিযান। বুধবার ১এপ্রিল, তার এক সাফল্য অভিযানে জানা যায়, ঘাতক করোনা ভাইরাস নিয়ে যখন সবাই ব্যস্ত ঠিক সেই মুহুর্তে সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল খাদ্য তৈরী উৎসবে মেতেছে। আর এই সংবাদটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানতে পেরে তাৎক্ষণিক সেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছুটে যায় উপজেলার উথুলী শহরতলী বাজার এলাকায় একটি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল হলুদের গুড়া তৈরি (মিল) কারখানার সন্ধানে। সরেজমিনে গিয়ে তিনি মিলটি দেখে আতঁকে উঠেন। মানুষ এমন অমানুষ, অবৈধ উপায়ে অর্থের লোভে বিষাক্ত রং ও ক্যামিক্যাল মিশিয়ে তৈরী করছে মৃত্যু নামক নিম্নমানের হলুদ দিয়ে ভেজাল হলুদের গুড়া। শুধু তাই নয়, ইটের গুড়া মিশিয়ে পশুর খাদ্যও তৈরী করছে। এরপর তিনি শিবগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি আমলে নিয়ে অভিযুক্ত ২ ব্যক্তিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪২ ধারা মোতাবেক ০৬ ( ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদাণ করেন। এবং ভেজাল হলুদ তৈরির ওই কারখানা বন্ধ করে সিলগালা করেন। জনবান্ধব নির্বাহী অফিসার আলমগীর কবির এর এমন অভিযানে জনমনে স্বস্তি জুগিয়েছে।