বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে (শজিমেক) চালু হলো করোনা পরীক্ষা ল্যাবরেটরি। আজ সোমবার কলেজের তৃতীয় তলায় মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে এই ল্যাবের উদ্বোধন করা হয়।
মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান মহসিনা আলম শহীদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এ মাসের শুরুর দিকে পিসিআর মেশিন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ আমাদের হাতে এসে পৌঁছে। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার মেশিনটি স্থাপন করা হয়। এরপর আইইডিসিআরের প্রশিক্ষকরা টেকনোলজিস্টদের প্রশিক্ষণ দেন। আজ দুপুর থেকে আমরা নমুনা পরীক্ষা শুরু করেছি। আজ আমরা তিন জন চিকিৎসক ও তিন জন টেকনোলজিস্ট ল্যাবে কাজ করছি। ইতোমধ্যে আমরা ৪২ পিস স্থায়ী ও ৪৫ পিস ডিসপোসেবল পিপিই এবং ১৫ পিস কেএন-৯৫ মাস্ক পেয়েছি। আমরা প্রতিদিন ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করতে পারবো।’
ল্যাব কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ১১ জন ল্যাব টেকনোলজিস্ট এবং প্যাথোলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ১৭ জন চিকিৎসক পালা করে দায়িত্ব পালন করবেন।
তবে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল আলম জানিয়েছেন, মোট ৩ শ কেএন-৯৫ মাস্ক ও ৪ শ ডিসপোসেবল পিপিই পেয়েছে শজিমেক।
তিনি বলেন, ‘আমাদের লোকবলের সংকট আছে। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে সাতটি পদ থাকলেও আমাদের এখানে আছেন একজন সহকারী অধ্যাপক ও তিন জন প্রভাষক। সহকারী অধ্যাপকের বাকি তিনটি পদই শূন্য। যে কারণে আমরা প্যাথলজি ও বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগ থেকে চিকিৎসক-টেকনোলজিস্টদের ল্যাবে সংযুক্ত করেছি। প্রাথমিকভাবে আজ পাঁচ থেকে সাতটি নমুনা পরীক্ষা করবো। আগামীকাল থেকে পুরো দমে নমুনা পরীক্ষা শুরু হবে।’
বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন গওসুল আজিম বলেন, ‘আজ আমরা ৩৭টি নমুনা পরীক্ষার জন্য পেয়েছি। আগামীকাল সেগুলো শজিমেক ল্যাবে পাঠানো হবে। এখন প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া সহজ হবে। সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ ও জয়পুরহাট জেলার নমুনা এই ল্যাব থেকে পরীক্ষা করানো যাবে। এখন পর্যন্ত আইইডিসিআরও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে প্রায় ৩৩২টি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে দুই জন করোনায় আক্রান্ত রোগী ছিলেন।’