করোনা মহামারীতে অসহায় নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ালেন এম আর ইসলাম স্বাধীন।জানা গেছে, দীর্ঘ সময় জেল, জুলুম, হয়রানিতে ঘরছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীদের বেশীর ভাগ অসহায় জীবন যাপন করছেন। ডজন ডজন মামলা মোকর্দ্দমা কাঁধে নিয়ে আদালতের বারান্দায় ঘুরতে ঘুরতে তারা যেন ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে পড়েছেন। মধ্যবিত্ত-নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের ওইসব নেতাকর্মীর ক্ষুধা থাকলেও কারো কাছে হাত পাততে লজ্জা পান তারা। এমনও নজির রয়েছে নিজের টাকায় দলের মামলায় বছরের পর বছর কাটিয়েছেন। এখন তাদের এক বেলা খাবারের চিন্তা করতে হচ্ছে। কিন্ত তাদের এমন অবস্থা ছিল না। করোনার মহামারীতে এখন এতটাই অসহায় হয়ে পড়েছেন যে, তাদের দু-চোখে শুধুই অন্ধকার। একদিকে করোনা আতংক অপরদিকে পেটের ক্ষুধা। গরীবদের লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রান-সামগ্রী দিলেও, এসব মানুষ লজ্জায় লাইনে দাঁড়াতে পারেননা। মুখ বুঁজে সহ্য করছেন তাদের অসহায়ত্ব! ঐসব নেতাকর্মীদের নিরব কান্নার কথা ভেবেই অন্ততঃ ডাল, ভর্তা, ভাত খাওয়ার এক সপ্তাহের খাবারের টাকা পৌঁছে দিয়েছে বগুড়া ছাত্রদলের এক সময়ের জনপ্রিয় সাবেক সভাপতি, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বর্তমানে জেলা বিএনপির আহয়বায়ক কমিটির সদস্য
#এম আর ইসলাম স্বাধীন। নাম গোপন রাখার শর্তে বেশ কয়েকজন তৃণমুল নেতা জানালেন, বিভিন্ন দুর্যোগে এবং এমনিতেই গরীব মানুষদের সহায়তায় চাল,ডাল ও টাকা দিয়ে সহায়তা করেছি। মামলা, পুলিশি হয়রানির কারনে অর্থ খরচ করে এখন অসহায় হয়ে পড়েছি। এ মুহুর্তে সাত দিনের ডাল ভাতের টাকাই যেন আমাদের কাছে এক যুগের খাবারের সমান। এম আর ইসলাম স্বাধীন জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিষয়গুলো খুব গোপনেই করেছিলাম। কিন্ত হঠাৎ জানাজানি হয়ে আমি নিজেই লজ্জিত। যে সব নেতাকর্মীদের সহায়তা করেছি। তারা একসময় রাজপথের সৈনিক ছিলেন। দলের জন্য, গরীব অসহায় মানুষের জন্য নিজেরাই অনেক টাকা ব্যয় করেছে। নির্যাতিত হয়েছে।