আসন্ন মাহে রমজানের তারাবির নামাজে অংশ নেবেন কারা? এরা হলেন, এশার জামাতে ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিব, খাদেম এবং দুইজন হাফেজসহ সর্বোচ্চ ১২ জন অংশ নিতে পারবেন। তারাই মসজিদে তারাবির নামাজে অংশ নেবেন বলে নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) জানিয়েছিলেন, মসজিদে ১২ জন অংশ নিতে পারবেন। তবে বিস্তারিত বলেননি তিনি। তার বক্তব্যের একদিন পরে বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।প্রাণঘাতী করােনা ভাইরাস বিস্তার রােধে বাকিদের পবিত্র মাহে রমজান মাসের তারাবি নামাজ ঘরে আদায় করার নির্দেশ দিয়ে শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) এ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।এতে বলা হয়, মাহে রমজান উপলক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতি করােনা ভাইরাস ভয়াবহ মহামারি আকার ধারণ করায় বাংলাদেশে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান পরিস্থিতিতে মুসলিম জনসাধারণকে মসজিদে প্রতি ওয়াক্ত নামাজে সর্বোচ্চ পাঁচজন এবং জুমার নামাজে সর্বোচ্চ ১০ জন মুসল্লির উপস্থিতিতে নামাজ আদায় করার জন্য নির্দেশনা দিয়ে গত ৬ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে সহযােগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে আগের বিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় তারাবি নামাজ আদায়ের নির্দেশনা জারি করা হয়।নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মাহে রমজানে এশার জামাতে ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিব, খাদিম এবং দুইজন হাফেজসহ সর্বোচ্চ ১২ জন অংশ নিতে পারবেন। এশার জামাত শেষে এ ১২ জনই মসজিদে তারাবির নামাজে অংশ নিতে পারবেন। অন্যান্য মুসল্লিরা নিজ নিজ ঘরে এশা ও তারাবিহ নামাজ আদায় করবেন। সবাই ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, যিকির ও দোয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির প্রার্থনা করবেন।‘প্রত্যেকের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করার স্বার্থে রমজান উপলক্ষে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ইফতার মাহফিলের আয়ােজন বা যােগদান করতে পারেন না।’উল্লিখিত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।প্রাণঘাতী করােনা ভাইরাস সংক্রমণ রােধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরােধ জানানাে হয়েছে।