বগুড়ায় করোনায় আক্রান্ত রংপুরের শাহ আলম (৫৫) সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বগুড়ায় করোনায় আক্রান্ত হিসাবে শাহ আলম প্রথম শনাক্ত হন।
বগুড়ার মহাস্থানে রাস্তায় পড়ে থাকা শাহ আলমকে একজন সংবাদকর্মীর সহযোগিতায় পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। টানা ২৬ দিন হাসপাতালে করোনার সাথে যুদ্ধ করে তিনি এখন পুরোপুরি সুস্থ্য । শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড় পত্র দেয়া হয়েছে।
ছাড়পত্র দেওয়ার পর শাহ আলম ও তার স্ত্রী সাজেদা বেগমকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. নুরুজ্জামান সঞ্চয় ও আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শফিক আমিন কাজল।
জানা গেছে, রংপুর সদরের ধাপের হাটের বাসিন্দা শাহ আলম ঢাকা থেকে ট্রাক যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। ২৯ মার্চ ভোর রাতে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ট্রাকের ড্রাইভার- হেলপার করোনা রোগী সন্দেহে তাকে বগুড়া – রংপুর মহাসড়কে মহাস্থান এলাকায় রাস্তার পার্শ্বে ফেলে রাখেন।
পরে স্থানীয় একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ভ্যান গাড়িতে করে শাহ আলমকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শাহ আলমকে পাঠানো হয় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে। শজিমেক হাসপাতালে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং শাহ আলমকে পাঠানো হয় বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে। তার নমুনা পরীক্ষা রিপোর্টে করোনা পজেটিভ আসে। পরে টানা ২৬ দিন হাসপাতালে করোনার সাথে যুদ্ধ করে তিনি এখন পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে ওঠেন।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শফিক আমিন কাজল বলেন, শাহ আলমকে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দুইবার নমুনা পরীক্ষা করে ছাড় পত্র দেয়া হয়েছে। শাহ আলম এখন পুরোপুরি করোনা মুক্ত। আত্মীয়রা তার সংস্পর্শে আসতে পারবেন বলে জানান এ চিকিৎসক।