বগুড়ার নন্দীগ্রামে ডোবা থেকে ফাতেমা খাতুন (২০) নামের এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওই গৃহবধুকে হত্যার পর মরদেহ ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছে সন্দেহে পুলিশ গৃহবধুর স্বামী আল-আমিনকে (২২) আটক করেছে।
বুধবার (৬ মে) সকাল ১০ টার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের কৈগাড়ী গ্রামের একটি ডোবা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ফাতেমা খাতুন কৈগাড়ি গ্রামের আল-আমিনে স্ত্রী এবং ফোকপাল গ্রামের রমজান আলীর মেয়ে।
জানাগেছে, দুই বছর আগে আল- আমিনের সাথে ফাতেমার বিয়ে হয়।তাদের সংসারে ১০ মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রযেছে। আল-আমিন পেশায় রাজ মিস্ত্রীর সহকারী।
আটক আল-আমিন পুলিশকে জানায়, সম্প্রতিকালে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে তিনি কর্মহীন হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার (৫ মে) বিকেলে ফাতেমা তার নানী শ্বাশুড়ির বাড়ি থেকে তিন কেজি চাল নিয়ে। স্বামী আল- আমিন জানতে পেরে স্ত্রীকে চড় থাপ্পড় মারে। সন্ধ্যার পর থেকে ফাতেমা বাড়িতে সন্তান রেখে নিখোঁজ হয়।
বুধবার সকালে গ্রামের লোকজন বাড়ির পার্শ্বে ডোবার পানিতে ফাতেমার মরদেহ দেখতে পায়।পরে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।নিহতের গলায় ফাঁস দেয়ার চিহ্ন রয়েছে।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত কবীর জানান, আটক আল-আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহতের পরিবারের সদস্যদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।