Logo




ভারতে মদ কিনতে মাইল লম্বা লাইন

ডেস্ক নিউজ
আপডেট করা হয়েছে : বুধবার, ৬ মে, ২০২০
ছবি: সংগৃহীত

ভারতে প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশজুড়ে জারি করা লকডাউন কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা হচ্ছে। দোকানপাট খোলার ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। বেশকিছুদিন ধরে বন্ধ ছিল মদের দোকান। গতকাল তা খুলে দেওয়া হয়। এতেই সকাল থেকে মদ কিনতে পড়ে যায় দীর্ঘলাইন। কোথাও কোথাও মদিরাপ্রেমীদের এক মাইলেরও বেশি লম্বা লাইন দেখা যায়। এমনকি পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জও করে পুলিশ।

মদের দাম বাড়ানো হয়েছে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত। এক ধাক্কায় ৭০ শতাংশ দাম বাড়া মুখের কথা নয় যে কোনো পণ্যের ক্ষেত্রেই। কিন্তু দেশের জন্য এটুকু ‘ত্যাগ’ করতে জান কবুল দিল্লির সুরাপ্রেমীরা। দীর্ঘ লাইন জয় করে, হাজার টাকার বোতল সতেরোশো টাকায় কিনে যেভাবে দোকান থেকে বেরোচ্ছেন, যেন করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হাতের মুঠোয়! উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব দিল্লির যে সব জায়গায় মদের দোকান খোলা রয়েছে, সর্বত্র  একই দৃশ্য।

গতকালই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কন্টেনমেন্ট এরিয়ার বাইরে মদের দোকান খুলবে ঠিকই কিন্তু স্পেশাল করোনা ফি হিসেবে দিতে হবে ৭০ শতাংশ বেশি দাম। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে দেড়শোটি নথিভুক্ত দোকান। কিন্তু দেখা গেল, সকাল ৯টায় এসেও দোকানের এক মাইল দূরে দাঁড়াতে হচ্ছে অনেককেই। মদের দোকানগুলোর সামনে শেষ রাত থেকে ভিড় জমতে দেখা গেছে।

প্রবীণ খন্না নামক এক স্থানীয় বাসিন্দা যেমন এসেছেন ভোর ৬টায়। তার অভিযোগ, ভোর থেকে ভিড় সামলানো উচিত ছিল পুলিশের। তখনই এসে টোকেনের মতো করে নম্বর নিয়ে নেওয়া উচিত ছিল। তা হলে সুষ্ঠু ভাবে সবাই এক-এক করে পেতেন। ক্ষোভে ফেটে পড়ে তিনি বলেছেন, আমি এসেছি পৌনে ৬টায়। আমার অনেক বন্ধু এসেছে ভোর চারটায়। কিন্তু দেখুন পুলিশ পৌঁছাচ্ছে দোকান খোলার পাঁচ মিনিট আগে। কোনও ব্যবস্থা নেই, মানুষকে বোঝাবে কে? যদি লড়াই-ঝগড়া হয়, তাহলে কে দায়িত্ব নেবে? সেই সঙ্গে প্রায় বুক ঠুকেই বললেন, মদের ৭০ শতাংশ দাম বেড়েছে বলে কোনও দুঃখ নেই। দেশের জন্য এটুকু দান করতে আমরা প্রস্তুত।’

গতকালও সকালে দোকান খোলার আগে থেকে অধিকাংশ মদের দোকানের সামনে লম্বা লাইন ছিল। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। ফলে খুলেও বন্ধ করে দিতে হয় অধিকাংশ মদের দোকান। তখন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে, মদে আরো কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।

সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, দোকানের সামনে উন্মত্ত ভিড় কিছুটা কমানোর কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি করোনার ধাক্কায় রাজ্যের শুকিয়ে আসা কোষাগারে কিছু বাড়তি অর্থ আমদানির কথাও ভাবা হয়েছে। কিন্তু আজ দিনশেষে মদের দোকানের সামনে ভিড় কমার লক্ষণ তো দেখা যায়ইনি, বরং সংক্রমণের তোয়াক্কা না করেই দোকানের সামনে সবাই ব্যাগ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।

সূত্র- আনন্দবাজার।

মন্তব্য

মন্তব্য





এই ধরনের আরও খবর

ফেসবুকে আমরা




Theme Created By ThemesDealer.Com