Logo




করোনা নয়, রিকশা বিক্রির ২০হাজার টাকা অজ্ঞানপার্টি লুটে নিয়ে মহাস্থান ফেলে যায়

গোলাম রব্বানী শিপন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
আপডেট করা হয়েছে : মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০২০

বগুড়ার মহাস্থান বাসষ্ট্যাণ্ড বন্দর থেকে করোনা সন্দেহে উদ্ধার হওয়া সেই অজ্ঞাত ব্যক্তির সন্ধান মিলেছে। তার নাম সিরাজুল ইসলাম। পিতা আব্দুল বারী। বাড়ী রংপুর জেলার শঠিবাড়ী এলাকায়। সিরাজুলের ভাই এর বরাত দিয়ে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আরএমও শফিক আমিন কাজল  প্রতিদিনকে জানান, অসুস্থ্য সিরাজুল ইসলাম প্রায় ৭/৮ মাস আগে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ করে মনের ক্ষোভে চট্রগ্রামে চলে যায়। সেখানে রিকশা ভাড়ায় চালিয়ে প্রতিদিন টাকা গচ্ছিত করে নিজেই একটা রিকশা কেনেন। এদিকে ৭/৮ মাস হয়ে গেল সিরাজুল বাড়ীতে আসে না। অন্যদিকে করোনার প্রভাব। এক সময় থমকে যায় সিরাজুল। ফোন করে তার ছোট ভাই এর কাছে। বাড়ীর অশান্তি মাথায় নিয়ে চট্রগামে এসে রিকশা কিনে ভালভাবেই দিন পার করছেন। কিন্তু করোনার জন্য কোথাও বের হতে পারছে না। সিরাজুলের সাথে কথা বলে দেশের এই পরিস্থিতিতে তার ভাই বাড়ীতে আসতে বলেন। ছোট ভাইয়ের কথা মত সিরাজুল তার বহনকৃত রিকশা ২০হাজার টাকা বিক্রি করে। সিরাজুল তার ভাইয়ের সাথে কথা বলে রবিবার দিনগত রাতে চট্রগ্রাম থেকে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে ট্রাকে উঠে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে। তার কাছে থাকা ২০হাজারের অধিক টাকাসহ সর্বস্ব লুটিয়ে নিয়ে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানে ফেলে যায়। এরপর অচেতন হয়ে ভোর থেকেই সিরাজুল পড়ে থাকে মহাস্থান বাসষ্ট্যাণ্ড যাত্রী ছাউনির নিচে। স্থানীয় লোকজন করোনা আক্রান্ত ভেবে দূর থেকে ভীড় করতে থাকে। সোমবার (১৮মে) দুপুর থেকে অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি (৪৫) কে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে বাসষ্ট্যাণ্ড এলাকার যাত্রী ছাউনি ঘিরে লকডাউন করে রাখে। এরপর খবর দেওয়া হয় বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল।
তাৎক্ষণিক ছুটে আসেন, মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালের ডাক্তার আরএমও শফিক আমিন কাজল ও এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার’সহ ওয়ার্ডবয় আনিছুর রহমান, শহিদুল ইসলাম তারা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে এ্যাম্বুলেন্স করে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নেয়।
হাসপাতালে অচেতনাবস্থায় চিকিৎসা হলেও তার কোন পরিচয় মেলেনা। পরে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি ব্যাগে পাওয়া যায় জাতীয় স্মার্ট কার্ডের রশিদ পত্র। সেটি সার্চ দিলে চলে আসে তার জাতীয় পরিচয় পত্র। ওই পরিচয় পত্রের সূত্র ধরে তার বাড়ীর সদস্যদের কাছ থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

মন্তব্য

মন্তব্য





এই ধরনের আরও খবর

ফেসবুকে আমরা




Theme Created By ThemesDealer.Com