বগুড়ায় নতুন করে ২৫ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন।এদের মধ্যে সদরের ১২ জন। তাদের মধ্যে ১১ জনই শহরের চেলোপাড়া এলাকার বাসিন্দা।বাকি আক্রান্তদের মধ্যে শাজাহানপুরের ৫ জন, শেরপুরের ৩ জন, গাবতলীর ২ জন, কাহালু, দুপচাচিয়া ও সোনাতলা উপজেলার একজন করে রয়েছেন।
এই নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত ১৬৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৬ জন। এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৫১ জন। আর করোনায় মারা গেছেন একজন।শনিবার( ২৩ মে) রাত ৯ টার দিকে জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আরো জানান, চেলোপাড়া এলাকার আক্রান্ত ১১ জনই চাষীবাজারে কাজ করেন। তারা স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। সম্প্রতি শহরের ঠনঠনিয়া হাড়িপাড়া এলাকার একজনের করোনা শনাক্ত হয়। তিনি ওই চাষীবাজারে কাজ করেন। তার সাথে কথা বলে এই ১১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।বাকি একজন জহুরুলনগরের বাসিন্দা। তিনিও শহরের মার্কেট থেকে আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।শাজাহানপুর উপজেলার পাঁচ জন। এর মধ্যে মাঝিড়া এলাকার এক দম্পতি আক্রান্ত হয়েছেন। তারা ঢাকা ফেরত। শাকপালা এলাকার দুই জন। আরেকজন আগে থেকেই মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।শেরপুরের শাহপাড়ার এক দম্পতি। তারা ঢাকা ফেরত। অপরজন ঢাকায় পুলিশের কনস্টেবল।গাবতলী দুজনের মোবাইল বন্ধ থাকায় তথ্য পাওয়া যায়নি। দুপচাঁচিয়ার তালোড়া এলাকার এক নারী আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি ঢাকা ফেরত। এ ছাড়াও সোনাতলার সদরের একজন আক্রান্ত হয়েছেন। তিনিও স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত। কাহালু নারহট্টের আরও এক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। তিনিও স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত।এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, শজিমেকের ১৮৮ ফলাফলে বগুড়ার ১৬৩টি। এর মধ্যে ২৫ জন পজিটিভ। বাকি ১৩৮টি নেগেটিভ। জয়পুরহাটের ২৪টি ফলাফলের মধ্যে ৪ জন পজিটিভ।উল্লেখ্য, বগুড়ার প্রথম করোনায় মৃত্যুবরণ করেন সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কামরুন্নাহার পুতুল। তিনি বৃহস্পতিবার (২১ মে) করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর তার করোনা শনাক্ত হয়। তিনি ১৯৯৬ সালে তৎকালীন বগুড়া-জয়পুরহাটের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য মনোনীত হন।