বগুড়ায় গাজী মো. শফিকুল (৪২) নামের এক খাদ্য কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সরকারি চাল পাচার ও সরকারি অর্থ অাত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা করেছে দূর্নীতি দমন কমিশন( দুদক)।গাজী মো. শফিকুল বগুড়ার গাবতলি উপজেলার সাবেকপাড়া এলএসডি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।শনিবার (৩০ মে) দূর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় বগুড়ার উপসহকারি পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।মামলার পরপরই অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।এতে অন্য আসামীরা হলেন, সাবেকপাড়া এলএসডি খাদ্য গুদামের নৈশ প্রহরী সাদেকুল ইসলাম (৪০) ও ধুনট উপজেলার চালকল মালিক আমজাদ হোসেন (৪৮)।মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক কর্মকর্তা ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ।প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার সকালে বগুড়ার গাবতলি উপজেলায় ১৫ মেট্রিক টন সরকারি চালসহ একটি ট্রাক উদ্ধার করে গাবতলি মডেল থানা পুলিশ। এই চালের সরকারি মূল্য ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।এঘটনায় উপজেলার সাবেকপাড়া সরকারি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী মো. শফিকুল ও খাদ্য গুদামের নৈশ প্রহরী সাদেকুল ইসলাম এবং আমজাদ হোসেন নামের এক চালকল মালিককে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল।কালোবাজারে চাল পাচার করার সময় সাবেকপাড়া এলএসডি খাদ্য গুদামের সামনে থেকে ট্রাকসহ ( ঢাকা মেট্রো -ট১৩- ৭৫৩৪) চাল উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।পুলিশ আরো বলছে, খাদ্য কর্মকর্তা গাজী মো. শফিকুল ও নৈশ প্রহরী সাদেকুল ইসলামকে জনগণের রোষানল থেকে রক্ষা করতে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। চালকল মালিক আমজাদ হোসেনকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাদেরকে দূর্নীতি দমন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। খাদ্য কর্মকর্তাসহ এই তিনজনই সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির সঙ্গে সরাসরি জড়িত।