বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তাকে অভিনব কায়দায় ব্ল্যাক মেইল করে ঘরে আটকে রেখে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।গত সোমবার (১ জুন) উপজেলা সদরের নাগরবন্দর এলাকার নাটমরিচাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (০২ জুন) ভোর রাতে অভিযান চালিয় টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের ৭ সদস্যকে আটক করেছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ।ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, সোমবার বিকেলে খাদ্য কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন সরকার অফিস থেকে সিএনজি রিজার্ভ করে নাগর বন্দরের একটি গোডাউনে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়। একটু দূরে যেতেই দুজন বোরকাপড়া মহিলা সিএনজি আটকিয়ে নাগরবন্দর যেতে চায়। রিজার্ভে কথা বলে নিষেধ করা সত্বেও তারা সিএনজিতে উঠে বসে। একটু দূরে যেতে চলন্ত সিএনজির সামনের সিটে নাগরবন্দর যাওয়ার কথা বলে জোর করে আর একজন ছেলে উঠে বসে। তখন আগের দুই মহিলার একজন পথের মধ্য নেমে পড়লে সামনের ছেলে পিছনের ছিটে এসে বসে।এরপর বাকি একজন মেয়ে হঠাৎ করে তার বুঁকের কাপর ছিঁড়ে ফেলে ও যাত্রী বেশি ঐ ছেলে জোর করে খাদ্য কর্মকর্তাকে সিএনজি থেকে নামিয়ে পার্শ্ববর্তী নাট মরিচাই গ্রামের একটি ঘরে আটকে রাখে। এরপর ছিনতাইকারীদের সাথে যুক্ত হয় আরও চার জন। এসময় তারা আচমকাই ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে বলে টাকা না দিলে এই মেয়ের সাথে অশ্লীল ছবি তুলে ইন্টারনেটে দিবো। ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মিকরে প্রাণ নাশের হুমকী দিলে পরে নিরুপাই হয়ে দুইজন পরিচিত লোকের কাছে ফোন দিয়ে তাদের দেয়া বিকাশ নাম্বারে ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে প্রাণে বেঁচে যান খাদ্য কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে সব কথা খুলে বলেন ও থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি। ঘটনার পর ছিনতাইকারীদের দেয়া বিকাশ ফোন নাম্বারের সূত্র ধরে সারা রাত অভিযান চালিয়ে ভোর রাতে ৭ জনকে আটক করা হয়।আটকৃতরা হলেন, নাট মরিচাই গ্রামের আবুল কালাম আজাদ এর ছেলে মাসুদ রানা (২৬), একই গ্রামের আঃ মান্নান এর ছেলে শাকিল আহম্মেদ, মীরের চক গ্রামের লেবু ড্রাইভার এর ছেলে বিপুল আকন্দ (৩০), সংসারদিঘী গ্রামের নাছের উদ্দিন এর স্ত্রী তানজিলা বেগম (২৬), একই গ্রামের নাছের উদ্দিন এর স্ত্রী মাহফুজা বেগম (৩৫), নাটমরিচাই গ্রামের দুলু মিয়ার কন্যা সাথী বেগম (৩৫), সংসারদিঘী পশ্চিম পাড়া গ্রামের সোহরাব এর ছেলে মেহেদী হাসান (২৫)। তাদের বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত প্রত্যকের ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে বলা বলি করছে, খাদ্য কর্মকর্তা সিএনজি যোগে নাগরবন্দর একা একা কেন গেলেন! তার সিএনজির মধ্যে ঐ মহিলারা কেনই বা উঠলো! সিএনজি কেন থামালেন! এতো লোকের ভীড়ে চিৎকার চেচামেচি কেন করলেন না! কেন বিকাশে টাকা নিয়ে দিলেন! কেনইবা থানায় মামলা করলেন! সিএনজি টি কোথায়! রিমান্ড শেষেই সব প্রশ্নের উত্তর বেরিয়ে আসবে এমনটা আশা করছেন স্থানীয় সুশীল সমাজ।