বগুড়ার গোকুলে নুরুল ইসলাস (৬০) নামের এক ব্যক্তি প্রতিপক্ষ রাঙ্গা কে ফাঁসানোর চেষ্টায় প্রতিবাদ করেছেন রাঙ্গা। শনিবার দুপুরে তিনি পাল্টা অভিযোগ করে জানান,বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের নরুল ইসলাম প্রায় ৩২ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে রেহেনা বেগম নামের এক নারীকে বিয়ে করে সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছেন। তাদের সংসারে দুটি কন্যা ও ১টি পুত্র সন্তানও রয়েছে। বর্তমানে পাশের বাড়ির রাঙ্গা (৫৫) নামের এক জনৈক ব্যক্তি ও তার স্ত্রী রুনা ওই পরিবারে রেহেনা বেগম কে কুবুদ্ধি দিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করছে বলে তিনি জানান। সংসার ফেলে স্ত্রী ভরদিন রাঙ্গার বাড়িতে যাওয়া আসা করে এতে নুরুল নিষেধ করলে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হয়। এবিষয়ে রাঙ্গা জানান, নুরুল ইসলাস ও তার স্ত্রী রেহেনার এটা তাদের পরিবারিক কলহ। কিন্তু তার স্ত্রী তাদের সংসারে কলহের কারনে মনের ক্ষোভে আমাদের বাড়িতে যাওয়া আসা করতো এটা সত্য। পরে নুরুল ইসলাম স্ত্রীকে আমাদের বাড়িতে আসতে বাড়ন ও জ্বালাতন করলে সে বেশকিছু দিন বাড়ি ছেড়ে তার আত্মীয়র বাড়িতে চলে যায়। নুরুল হোসেন সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেন। সদর থানা পুলিশ সেটি দু’পক্ষকে ডেকে আপোষ মিমাংসাও করে দেন। রাঙ্গা আরও জানান, নুরুল ইসলাম যে দোকান করে সেটি তার কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছে। দোকান করার ১৮মাস হলো সে কোন ভাড়া দেয় না। বিষয়টি গোকুল বন্দর মালিক সমিতিকে জানালে তারা সকল সদস্যের সর্বসম্মতিক্রমে রেজুলেশন মোতাবেক নুরুলকে ৩১জুলাই ২০২০ ইং তারিখে দোকান ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়। দোকান ঘর ছেড়ে না দিতে নুরুল মিথ্যা তালবাহানা করে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এলাকার এক শ্রেনীর অসাধু ব্যক্তিরা তাকে উসকে দিচ্ছে।নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া বিবাদ হতেই পারে। এজন্য আমি দায়ি নই। আমি কর্মস্থলে গেলে রেহেনা আমার বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীকে কাজে সাহাস্য করতো। সেজন্য আমার স্ত্রী তাকে নিজের বোনের মত ভাবতো। আমার বাড়িতে আসতে যদি তাদের পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হয় সেজন্য আমি নুরুল ইসলামের স্ত্রী রেহেনাকে না আসার জন্য নিষেধ করেছি।আমার বিরুদ্ধে নুরুল ইসলাম যে অভিযোগ করেছেন তার কোন ভিত্তি নেই। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মন্তব্য