বগুড়ায় নতুন করে ৫১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষায় ৩৪ জন। আর বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেলে ১৭ জন সনাক্ত হয়েছেন।
শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ নিয়ে বগুড়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা হলো ১ হাজার ৮৬ জন। আজকের উল্লেখযোগ্য পেশাজীবীদের মধ্যে একজন সাংবাদিকের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলার শজিমেকে দুই ধাপে শুধু বগুড়ার ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনা শনাক্ত হয় ৩৪ জন। অন্যদিকে টিএমএসএসে ৯৪টি পরীক্ষার মধ্যে বগুড়ার নমুনা ৮৬টি। এই নমুনার মধ্যে ১৭ জন শনাক্ত হয়।
এ ছাড়া টিএমএসএস মেডিকেলে নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ ও গাইবান্ধা জেলার একজন করে মোট তিন জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে জেলার পরিসংখ্যানে শুক্রবারেও সদর উপজেলায় শনাক্তের পরিমাণ বেশি। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, সদরে আক্রান্ত হয়েছে ২৯ জন। এ নিয়ে সদরে মোট আক্রান্ত ৭৮৮ জন। গাবতলীতে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন। এতে এ উপজেলায় মোট আক্রান্ত এখন ৬৮ জন। শিবগঞ্জ উপজেলায় ৭ জন নিয়ে মোট সংখ্যা ৩১ জন। দুপচাঁচিয়াতে আজ শনাক্ত হয়েছে ৪ জন। এতে উপজেলায় মোট আক্রান্ত ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আদমদিঘীর একজন নিয়ে মোট সংখ্যা ২১ জন।
বাকি উপজেলাগুলোয় আক্রান্তের অবস্থা অপরিবর্তীত রয়েছে। শাজাহানপুরে ৩৬, শেরপুরে ৪৪, সারিয়াকান্দিতে ৪৫, সোনাতলায় ১৯, নন্দীগ্রামে ১৩ ও ধুনটে ২৮ জন।
জেলার শজিমেকে শুক্রবার মোট ১৭১টি নুমনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল থেকে একজন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থতার সংখ্যা ৮৬। আর আজকে নতুন করে কোনো মৃত্যুর খবর নেই। এ জন্য এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু সংখ্যা ১১ জন।
ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শুক্রবারের আক্রান্তদের উল্লেখযোগ্য এলাকাগুলো হল- জহুরুল নগর, চেলোপাড়া, বারোপুর।
এসব তথ্য দিয়ে তিনি সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে মাস্ক ব্যবহার ও প্রতিদিন পনের থেকে বিশবার করে সাবান দিয়ে হাত ধুতে বলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন।
আগের দিন বৃহস্পতিবার জেলায় ৯৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে শজিমেকে ৬৫ জন এবং টিএমএসএসে ৩৩ জন। এই আক্রান্তের মধ্যে চিকিৎসক, নার্স, পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মীরা রয়েছেন।