শেরপুর উপজেলায় প্রত্যন্ত গ্রাম গঞ্জে রয়েছে বহু গরু, ছাগল, ভেড়া, হাস মুরগীর ফার্ম । সাধারণ জনগন বেশি অর্থ ব্যয়ে পশু চিকিৎসা করতে পারে না । সেই জন্য রয়েছে শেরপুর উপজেলার পশু চিকিৎসার জন্য ডাক্তার । তাহার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি শোনা মাত্রই ছুটে যান গ্রামে সেই অসহায় গরীব মানুষের পাশে । উপজেলায় কোন গ্রামে যদি সেই ডাক্তার মোবাইলে চিকিৎসার সু-ব্যবস্থা করতে না পারেন তিনি জরুরীভাবে উক্ত অসুস্থ পশুকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর নিয়ে আসার পরামর্শ দেন তিনি ।
সোমবার রাত ১.৪৮ মিনিটচারদিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হালকা ধমকা হাওয়া সারাদিনের ক্লান্তি শেষে অপেক্ষারত পরিবারের মানুষদের সাথে যখন শান্তিতে একটু ঘুমাতে যান ঠিক তখনি সাইলেন্ট মোবাইলের তীব্র আলো চোখে পড়ে ডাক্তারের সবুজ বাটনে প্রেসের সাথে কানে ভেসে আসে কান্নাজড়িত এক অসহায় মানুষের আকুতি মাখা কন্ঠ কথার চাইতে কান্নার শব্দই বেশি স্যার যেকোন মুল্যে আমার বাড়িতে আসেন আমি খুবই গরিব অসহায় হিন্দু মানুষ একমাত্র গরুটিই আমার শেষ সম্বল চতুর্মুখী মানসিক সংকটে ডাক্তার একদিকে পরিবার,একদিকে করোনা,একদিকে বৃষ্টি-আর বেকওয়াট যোগাযোগ আরেক দিকে অসহায় মানুষের নিদারুন আকুতি অবশেষে ব্যাক্তিগত ড্রাইভারকে ঘুম ভাংগিয়ে বাসা থেকে ডেকে এনে বের হন টানা ২৬ কিলোমিটার পাকা,কাচা,অর্থ কাদাময় রাস্তা যাওয়ার পর গাড়ি আর সামনে নেয়ার সুযোগ হয়না মোটেই আবার পায়ে হাটা শুরুকরেন অন্ধকার,কর্দমাক্ত,পিচ্ছিল রাস্তা হাটতে হাটতে প্রায় ২ কি.মি. যাওয়ার পর নদী মাঝি আসতে দেরি হউয়ায় অপেক্ষার পালা বসে থাকেন নদীর খেয়া ঘাটে অবশেষে পার হয় গরুর মালিকের সহযোগীতায় খেয়াপাড়ের রশিটেনে নদী পার হয়ে পুনরায় হাটার পালা অন্ধকার,পিচ্ছিল কর্দমাক্ত মেঠোপথ পাড়ি দেয় হেটে প্রায় ২.৫ কি.মি অন্ধকারে মোবাইলের আলোতে গ্রামের বিভিন্ন বাড়ির ভিতরের ভিতরের অলিগলির সরু রাস্তা অতিক্রম করে উপস্থিত হন ঠাকুর চন্দ্রপালের ঘোয়ালঘরে। ডাক্তারকে দেখে আত্বতৃপ্তি আর আস্থার জায়গা খোঝে পায় চন্দ্রপালের স্ত্রী,সন্তানসহ পুরো পরিবার। অবশেষে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসা প্রদানকরে ফিরে আসেন একই রাস্তায়…একই অপ্রতিকুল পরিবেশ অপ্রতিকুল যোগাযোগ ব্যাবস্থার মধ্য দিয়ে