Logo




শিবগঞ্জে এক গৃৃহবধূর আত্মহত্যা জনগণের নানা প্রশ্ন

সাজু মিয়া শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি:
আপডেট করা হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০২০

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বড় পনেরটিকা গ্রামের পল্লী পশু চিকিৎসক সজল মিয়ার স্ত্রী বিলকিছ আক্তার বিথী (১৯) গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।জানা যায়, উপজেলার আটমুল ই্উনিয়নের সোনাদেউল গ্রামের বাদশা মিয়ার কন্যা বিলকিছ আক্তার বিথীর সহিত বিহার ইউনিয়নের বড়পনেরটিকা গ্রামের ফেরদৌস রহমানের ছেলে সজল মিয়া (২৩) এর সঙ্গে ৭/৮ মাস পূর্বে প্রনয় ঘটিত ভাবে বিবাহ হয়। সংসার কালীন সময়ে বিথীর শ্বশুর ফেরদৌস রহমানের সহিত তার স্বামীর মটর সাইকেল যোগে পিত্রালয়ে আসা যাওয়া করে। একপর্যায়ে গত ১৪ই জুুন রবিবার শ্বশুরের সঙ্গে মটর সাইকেল যোগে বাবার বাড়িতে যায়। বাবার বাড়িতে অবস্থান কালিন সময়ে বিথীর মার সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ ও মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বিথী ১৭ই জুন বুধবার দুপুরে মার সাথে অভিমান করে একাই বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। বিষয়টি বিথীর মা তার জামাই সজল কে ফোনে বলে বিথী রাগ করে বাড়ি থেকে চলে গেছে। তুমি একটু খোঁজ কর সে কোথায় গেছে? এরপর সজল জানতে পারে শিবগঞ্জ জন সংঘ পাবলিক লাইব্রেরীর নিচে ভাই ভাই ব্রাদার্স জাকিরের কসমেটিক্স এর দোকানে আছে। এমতাবস্থায় বিকাল ৩টায় সজল তার মোটর সাইকেল যোগে বিথীকে নিজ বাড়ী বড় পনেরটিকা নিয়ে যায়। নিয়ে গিয়ে বিথীর স্বামী সজল জানতে চায় কী হয়েছে? বিথী বলে মা আমাকে এমন একটা বাজে কথা বলেছে যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এ লজ্জায় আমি মুখ দেখাতে পারবো না। তার চেয়ে আমার মরে যাওয়াই ভাল। এর পর সবার অজান্তে সন্ধ্যা ৭টায় মার উপর অভিমান করে স্বামীর শয়ন কক্ষের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় পাড়াপ্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজন নানা মন্তব্য করতে থাকে কী এমন কথা বলেছে মা তাকে সে কাউকে বলা যাবে না। তবে কী শ্বশুর ফেরদৌসের মটর সাইকেলে যাওয়া আসা করায় কাল হলো বিথীর। নানা জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয় এই অপমৃত্যুতে। শেষ পর্যন্ত রাত ১২ পর্যন্ত বেজে গেলেও বিথীর মা-বাবা মৃত্যুর খবর পেলেও কেন বিথীকে দেখতে গেল না? এ নিয়ে জনগণের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১২টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত দেহের সুরত হাল প্রতিবেদন তৈরী করে। নানা বিড়ম্বনায় পরে একপর্যায়ে রাত ২টায় মৃত দেহ থানায় নিয়ে আসে এবং বৃহস্পতিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেন। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, কারো প্ররোচনায় বা কটু কথার কারণে বিথী আত্মহত্যা করে থাকে, তা তদন্ত করে দেখা হবে। এঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মন্তব্য

মন্তব্য





এই ধরনের আরও খবর

ফেসবুকে আমরা




Theme Created By ThemesDealer.Com