বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় দুই বছর আগের চাঞ্চল্যকর বিপ্লব (২৮) হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকা পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার বিকেলে বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি জানান, অভ্যন্তরীণ দ্বদ্বের কারনেই বিপ্লবকে হত্যা করা হয়। বিপ্লব বগুড়া সদর উপজেলার ঠনঠনিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার হযরত আলীর ছেলে।আটক পাঁচজন হলেন- বগুড়া সদর উপজেলার ঠনঠনিয়া এলাকার আব্দুর রউফের ছেলে রাজিব হোসেন রাজু (২৮), খান্দার এলাকার রমজান আলীর ছেলে বেলাল হোসেন (৩৫), হাসান আলী (২৮), আব্দুর সামাদের ছেলে আব্দুর রহমান শুটকু (২৮) এবং সোনাতলা উপজেলার মৃত রামনাত মন্ডলের ছেলে শ্রী সঞ্জয় কুমার মন্ডল।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সোনাতলা উপজেলার নগরপাড়া মহিশাপাড়া গ্রামে গনিজান কালভাটের নিচে পড়ে থাকা বস্তাবন্দি অবস্থায় ক্ষতবিক্ষত বিপ্লবের মরদেহ উদ্ধার করে সোনাতলা থানা পুলিশ। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এ হত্যা মামলার কোন অগ্রগতি না হওয়ায় পরবর্তীতে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞার নির্দেশক্রমে মামলাটির তদন্তভার সোনাতলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদ হোসেন গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ভিকটিম বিপ্লবের সাথে সম্পকিত সকলকে নজরদারিতে রেখে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়।পুলিশ জানায়, প্রধান হত্যাকারী মোঃ রাজিব হোসেন রাজু (২৮) আড়াই বছর ধরে যশোরে পালিয়ে ছিলেন।
সেখানে রাজিব তার মামার বাসায় দুই বছর অবস্থান করেন। এর পর সে বিয়ে করে ছয় মাস ধরে অন্য একটি ভাড়া বাসায় গোপনে অবস্থান করছিলেন। তার অবস্থান নিশ্চিত করে বগুড়া শিবগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ কুদরত-ই- খুদা শুভ এর নেতৃত্বে সোনাতলা থানা পুলিশ যশোর থেকে রাজিবকে আটক করে। পরবর্তীতে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হত্যার সাথে জড়িত বেলাল, হাসান, আব্দুর রহমান শুটকু ও সঞ্জয় কে বগুড়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়।পুলিশ আরও জানায়, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।