মধ্য বর্ষায় প্রচণ্ড দাবদাহ। প্রকৃতির এই বিরূপ আচরণের অসহনীয় প্রভাব পড়ছে জনজীবনে। খেটে খাওয়া মানুষের কাছে যা ভীষণ অস্বস্তিকর। অসহনীয় এই তাপমাত্রা থাকবে আরও দুই থেকে তিন দিন। বলছে আবহাওয়া অফিস।এ শহরের প্রতিটি মানুষের গল্প আলাদা। এই যেমন শরীফুল, ক্লাস টেনে পড়া শরীফুল প্রচণ্ড গরমে করোনার এ সময়ে কাজ করছেন পরিবারকে সাপোর্ট করতে। করোনায় কাজ গিয়েছে ভাইয়ের, কিন্তু, কমেনি বাসা ভাড়া বা অন্য খরচও।মধ্য আষাঢ় চলছে। বর্ষার বাতাসে এখন জলীয় বাষ্পের আধিক্য। প্রচণ্ড গরমেও থেমে নেই জীবিকার্জন। অফিসগামী যাত্রীরাও পড়েছেন বিপাকে।আবহাওয়া অফিস বলছে, গরমের এই অস্বস্তি থাকবে আরও দুই থেকে তিনদিন।
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাওয়ায় এই গরমতা অনূভুত হচ্ছে। আজ বা কাল এরকম গরম থাকতে পারে। এরপর পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়ে যাবে।প্রচণ্ড দাবদাহের এই সময়ে সহজপাচ্য খাবার গ্রহণসহ তরল গ্রহণে জোর দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। স্কয়ার হাসপাতাল প্রধান পুষ্টিবিদ তপতী সাহা বলেন, এই দাবদাহে পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ করতে হবে যেন শরীর ডিহাইড্রেড না হয়ে যায়। প্রয়োজনে দুবার গোসল করতে হবে।পাশাপাশি, মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়াসহ গরমের অস্বস্তি দূর করতে দিনে দু’বার গোসল করার উপর জোর দিয়েছেন তিনি।