বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় কোরবানির পশুর হাটে মানুষের ঢল নেমেছে। পুরোদমে বেচা-কেনা চললেও বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতাই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। সরকারিভাবেও নেই কোনো বিধি-নিষেধ। এ অবস্থায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সচেতন মহলের।বগুড়ায় করোনা সংক্রমণ যখন ঊর্ধ্বগতিতে তখন হাট বাজারগুলোতে মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্য সতর্কতা। বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) গরু ও ছাগলের জমজমাট হাঁটে ছিল না কোনো শারীরিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানার বাধ্যবাধকতা।পশু ক্রেতা ও বিক্রেতারা বলছেন দীর্ঘদিন কাজকর্ম না থাকায় বাধ্য হয়ে তারা হাঁটে আসছেন গরু ছাগল বেঁচাকেনা করতে।একজন বলেন, ‘আর কতদিন ঘরে বসে থাকা যায়, বাইরে তো বের হতেই হবে।’আরেকজন বলেন, ‘যতটুকু পারি সেফ হয়ে চলি।’ইজারাদাররা বলছেন, দীর্ঘদিন তারা লোকসান দিয়েছেন হাঁটটিতে। এখন যদি হাঁট চালাতে না পারেন তবে পথে বসবেন তারা। এছাড়া সরকারিভাবে হাট চালাতে তাদের উপর কোনো বিধিনিষেধ দেয়া হয়নি।বগুড়া ধাপেরহাট ইজারাদার আনোয়ারুল হক বাপ্পা বলেন, ‘করোনায় আমাদের ১০টা হাট নষ্ট হয়ে গেছে। হাঁটে গরু কিনতে আসলে দূরত্ব সম্ভব হয় না।’বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহম্মেদ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হাটবাজার পরিচালনা করার কথা বলা হয়েছে।তিনি বলেন, ‘এখানে হাট বাজারতো সীমিত পরিসরে সবই চলবে, কোথাও কোনো বন্ধ নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সব চলছে।’