করোনা সংকটে চাকরি হারাচ্ছেন কর্মজীবীরা। কমছে নতুন করে কর্মসংস্থানের সুযোগও। হতাশ হয়ে পড়ছেন তরুণরা। এর কারণ হিসেবে বাজারমুখী মানবসম্পদের অভাবের কথা বলছেন উদ্যোক্তারা। করোনা পরবর্তীতে বেকার সমস্যা প্রকট হওয়ার আশঙ্কা করে অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ, জোর দিতে হবে বিভিন্ন মেয়াদী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপযুক্ত জনশক্তি গড়ে তোলার ওপর।করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ব্যয় সংকোচনের পথে হাঁটছে উৎপাদন ও সেবামুখী প্রায় সব শিল্প প্রতিষ্ঠান। এতে প্রতিদিনই চাকরি হারাচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মী। হঠাৎ বেকার হয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠী জানে না ঠিক কবে আবার তৈরি হবে নতুন করে কর্মসংস্থান।ভুক্তভোগীরা জানায়, আমাদের মত অনেক যুবক এখন বেকার হয়ে পড়েছেন। জানি না কবে আবার নতুন চাকরি পাবো।আরও পড়ুন : ‘স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্সে দুদক’আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও’র তথ্য, বিশ্বে বর্তমানে কর্মজীবী ৩৩০ কোটি মানুষের মধ্যে করোনার কারণে ক্ষতির মুখে রয়েছে মধ্যে ৮১% শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ৫ জনে ক্ষতির মুখে ৪ জন। এর বাইরে নয় বাংলাদেশের চাকরির বাজারও। গবেষণা সংস্থা পিআরই’র আশঙ্কা চাকরি হারাতে পারে দেশের দেড় কোটির বেশি মানুষ। আর ক্ষতির মুখে পড়বে প্রায় ৫ কোটি।বিডিজবস ডট কমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফাহিম মাশরুর জানান, করোনার কারণে সারকুলারগুলো কমে যাচ্ছে। এপ্রিল-মে মাসে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কমেছে। জুন মাসে নরমাল সময়ের তুলনায় ৫০ ভাগের মতো কম। চাকরি খোঁজটা প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ভাগ কমেছে।আরও পড়ুন : কোটি ছুঁতে চলল বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেশে বেকারত্বের হার যেখানে প্রায় সোয়া ৪ শতাংশ, সেখানে আবার সামনে এসেছে টেকসই কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে কতটুকু?
আইবিএফবি’র প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন রশীদ জানান, আমাদের নিডবেস এডুকেশন সেভাবে ফোকাস করতে পারিনি। মিড লেভেল ম্যানেজমেন্ট আমাদের দেশে সেভাবে হচ্ছে না।
এ অবস্থায়, কর্মসংস্থানে করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় ও উৎপাদন ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে কাজ ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাড়ানোর পরামর্শ অর্থনীতি বিশ্লেষকদের।
অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ জানান, করোনা পরবর্তী সময়ে যে নতুন ধরণের বাস্তবতাকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের শর্ট টার্ম ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিবিএস’র তথ্য, বয়স বিবেচনায় বর্তমানে দেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১১ কোটি আর শ্রমবাজারে রয়েছেন প্রায় সাড়ে ৬ কোটি।